ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার বিকেলে বলেন, বুধবার সকালে রূপাতলী বাস টার্মিনালে গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিরোধের জেরে ঝালকাঠির বাস চালক ও শ্রমিকদের মারধর করা হয়। এতে ঝালকাঠির আটজন চালক ও শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝালকাঠির বাস শ্রমিকদের সঙ্গে ঝগড়া হয় পটুয়াখালীর বাসশ্রমিকদের। এ সময় বরিশালের বাসশ্রমিকেরা পটুয়াখালীর বাসশ্রমিকদের পক্ষ হয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ঝালকাঠির বাসচালক ও শ্রমিকদের বেদম মারধর করেন। এতে বাসচালক কালু হাওলাদার, সুপারভাইজার আবুল কালাম, হেলপার শাওন হাওলাদার, সাগর হোসেন ও জাহিদুল ইসলামসহ আটজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কালু হাওলাদার, আবুল কালাম ও শাওনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, এই হামলার পর নিরাপত্তার কারণে বরিশাল–ঝালকাঠি, বরিশাল–খুলনা, বরিশাল–পিরোজপুর, বরিশাল–পাথরঘাটা এবং বরিশাল–মঠবাড়িয়া রুটে দুপুর ১২টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝালকাঠির বাসচালক ও শ্রমিকেরা পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি রুটের বাসগুলো বরিশাল-ঝালকাঠির সীমান্তে রায়পুর এলাকায় নিয়ে পার্ক করে রেখেছে।
ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পুনরায় হামলার আশঙ্কায় ঝালকাঠিসহ পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি রুটের বাসচালক ও শ্রমিকেরা বরিশালের রূপাতলী বাস টার্মিনালে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এ কারণে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি, খুলনা, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া রুটে বাস চলাচল দুপুর ১২টা থেকে বন্ধ রয়েছে।
আনসার উদ্দীন বলেন, ‘একা হলে মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে যাওয়া যেত। কিন্তু ছোট দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এখন চার-পাঁচ দফা তিন চাকার যান পাল্টে ভাঙা পথে বাড়ি ফিরতে হবে। এতে যেমন সময়ের অপচয় হবে, তেমনি টাকাও ব্যয় হবে তিন থেকে চার গুণ। এরপর দুর্ভোগ তো আছেই।’