পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি ঋণ সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে বেশ কিছু মাস আগে একটি ট্রাক্টর কিনেছিলেন ওই কৃষক। তবে চাষ করে খুব একটা লাভ হয়নি। তাই ট্রাক্টর কেনার ঋণের কিস্তি মেটাতে পারেননি তিনি। আর সেই কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতেই তার বাড়ি পৌঁছান ওই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার এক আদায়কর্মী।
এরপর ওই কৃষক ও ঋণ আদায়কর্মীর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। তখন ওই কৃষকের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তার সঙ্গেও ওই ঋণ আদায়কর্মীর তর্কাতর্কি হয়। এরপরই ট্রাক্টর দিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে পিষে দেন অভিযু্ক্ত কর্মী। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত তরুণীর এক আত্মীয়ের দাবি, ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে তাদের বাড়িতে চড়াও হন। ডিএসপি মনোজ রতন চোথে বলেছেন, অভিযুক্ত ঋণ আদায়কারী কর্মী এবং ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ম্যানেজারসহ চার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।