বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রী বাজারে ‘পার্বত্য চট্টগামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের সহায়তায় সরবরাহকৃত ১ হাজার ৩২৭টি পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষের দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেমাক্রীর ১ হাজার ৩ শ ২৭টি পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লক্ষাধিক টাকার সোলার প্যানেল সিস্টেমের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই না সরঞ্জামগুলো স্থাপনের জন্য প্রত্যেককে নগদ টাকাও উপহার দিয়েছেন।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুত সুবিধা পেৌছানো অত্যন্ত দুস্কর ও ব্যয়বহুল। এসব এলাকায় আলো ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা প্রক্রিয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিলো কেরোসিন বাতি বা ডিজেল জেনারেটর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ ও স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, ১০ হাজার ৮৯০ টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম এবং ২ হাজার ৮১৪টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাড়া কেন্দ্র, দুর্গম এলাকার স্টুডেন্ট হোস্টেল, অনাথ আশ্রম কেন্দ্র, এতিমখানাগুলোতে বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী পাহাড়িদের আশ্বস্ত করে বলেন, সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ পেৌছে দিবেন।
পরে মন্ত্রী উপকারভোগীদের মাঝে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বিতরণ করেন এবং প্রত্যেক উপকারভোগীকে নগদ ৬৫০ টাকা করে বিতরণ করেন। প্রতিটি সোলার প্যানেল থেকে উপকারভোগীরা ১০০ ওয়াট পিক আওয়ার বিদ্যুৎ সোলার প্যানেল সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে ৪টি এলইডি বাল্ব, ১টি সিলিং ফ্যান, ১টি টিভি, ১টি চার্জ কন্ট্রোলার চালানো যাবে। এর আগে মন্ত্রী রেমাক্রী ইউনিয়নে অস্থায়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বান্দরবান জেলার ৭ উপজেলার প্রেত্যক উপজেলা ও ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রী এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নে সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।এসময় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (বাস্তবায়ন) মো. হারুন-অর-রশিদ, বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. আবুল মনসুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিট অফিসের নির্বাহী প্রকেৌশলী আবু বিন মো. ইয়াসির আরাফাত, থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং উপস্থিত ছিলেন।