জন্মদাতা মায়ের লিভারে ধরা পড়েছে টিউমার। বাঁচাতে হলে প্রয়োজন নতুন লিভার বা কলিজা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও টিমের সদ্যসরা জানান মাকে বাঁচাতে হলে ৩০ শতাংশ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে।তাই নিজের কলিজা (লিভার) দিয়ে মা’কে সুস্থ করে তুলতে চাচ্ছেন নবীন চিকিৎসক ও কুমিল্লার ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. মাসুদ আলম। এজন্য ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ডা. মাসুদের মাকে।
অনেকদিন ধরে ডা. মাসুদ মা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিন মাস আগে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁর মাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে লিভারে টিউমার ধরা পড়ে। টিউমারটি অনেক বড় হওয়ায় লিভারের অনেকটা অংশ কেটে ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে তাঁর মা বাঁচবে কিনা সন্দেহ। সেখানকার চিকিৎসকরা একজন ডোনারসহ যেতে বললেন। অনেক খোঁজাখুজি করে ডোনার পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই নিজের কলিজার (লিভার) ৩০ শতাংশ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. মাসুদ।জানা যায়, পরিবারের অন্য সবার পরীক্ষা নিরীক্ষা হলে ছোটবোন, ছোটভাই ও ডা. মাসুদের সাথে সবকিছু মিলে যায়। ভাই-বোন দুজনের বয়স কম। এখনো সবকিছু বুঝার ক্ষমতা হয়ে উঠেনি। মাসুদ সিদ্ধান্ত নিল, ওর আম্মুকে বাচাঁতে হলে নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে। মাসুদ সিদ্ধান্ত নিল, ওর কলিজা দিয়ে আম্মু বেঁচে থাকবে। এর থেকে ভালো কাজ জীবনে কি হয়? মাসুদের কলিজার ৩০ শতাংশ ওর আম্মুর জন্য ডোনেট করবেন।
ডা. মাসুদ আলম কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেলের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশিত এমবিবিএস ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় পাস করে চিকিৎসক হয়েছেন তিনি।