জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) যাদের চার আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া আছে, তাদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বছর একটি কর্মসূচি নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ইতোমধ্যে যারা ১০ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া লাগবে না। প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ। এদের মধ্যে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন ৬ কোটির মতো নাগরিক। স্মার্টকার্ড নেওয়ার সময়ে তাদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়েছে। বাকি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি নাগরিককে দিতে হবে দশ আঙ্গুলের ছাপ।
শনিবার রাজধানীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর।অনুষ্ঠানে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, আমরা সেবা দেই। কিন্তু যদি গতি বাড়াতে না পারি, নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বর্তমানে যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে, এই ভোটার তালিকা দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। সুতরাং অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই কেউ যেন বাদ না পড়ে এবং কেউ যেন একাধিকবার ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের পুরস্কারের পাশাপাশি তিরস্কারেরও ব্যবস্থা করতে হবে।
এনআইডির মহাপরিচালক বলেন, আমরা যেহেতু আগামী ভোট (জাতীয় নির্বাচন) আরও সুন্দর করতে চাই, এ কারণে আমরা ফিঙ্গার প্রিন্ট কিন্তু আপডেট করব। যারা স্মার্টকার্ড নিয়েছেন, তারা দশ আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা দশ আঙ্গুলের ছাপ দেননি, আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা দশ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা কমিশনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছি। সভায় ঢাকার আঞ্চলিক পর্যায়ের এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর সংক্রান্ত আবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় জানানো হয়, এ পর্যন্ত মোট আবেদন পড়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৩টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৯৪৫টি। আর অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে ১৮ হাজার ৪০৮টি আবেদন। সবচেয়ে বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৭ হাজার ৬৪৮টি।