রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিলো ইউক্রেনের চার অঞ্চল

প্রতিনিধির / ৩৯৫ বার
আপডেট : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিলো ইউক্রেনের চার অঞ্চল
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিলো ইউক্রেনের চার অঞ্চল

রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে ইউক্রেনের চার অঞ্চলের জনগণ। দনেতস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনের গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৭শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে এই গণভোট। এতে সব কটি অঞ্চলের ভোটাররাই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। যদিও এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না বলে আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

আরটি জানিয়েছে, লুহানস্কের ৯৮ শতাংশ ভোটই পড়েছে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে। অপরদিকে দনেতস্কের ৯৯ শতাংশ ভোটারই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। জাপোরিঝিয়াতে এই হার ৯৩ শতাংশ এবং খেরসনে ৮৭ শতাংশ। এরমধ্যে দনেতস্ক ও লুহানস্ক ২০১৪ সালে নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় এবং ২০২২ সালে রাশিয়া তাদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে জাপোরিঝিয়া ও খেরসন ইউক্রেন থেকে ভেঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

তবে কবে নাগাদ এই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে তা এখনও অনিশ্চিত। কারণ, রাশিয়াকে এ নিয়ে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে।

লাগবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরও। যদিও শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান যে, এই প্রক্রিয়া যত দ্রুত হওয়া সম্ভব তত দ্রুতই শেষ করা হবে।
ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলেছে, ওই ৪টি অঞ্চল দখলে এটি রাশিয়ার একটি আইনি অজুহাত তৈরির অবৈধ, দমনমূলক প্রক্রিয়া। গত সপ্তাহে পুতিন বলেন, রাশিয়ার ‘আঞ্চলিক অখ-তা’ রক্ষায় তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পিছপা হবেন না। গণভোটের পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা ভোটের শাস্তি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, রাশিয়ার এই উদ্যোগ যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনবে না।

কিয়েভ বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাশিয়ার অতিরিক্ত অঞ্চল দখল করলে তা শান্তি আলোচনার যে কোনো সুযোগ নষ্ট করে দেবে। এতে বলা হয়েছে, যেসব ইউক্রেনীয়রা রাশিয়াকে ভোট আয়োজনে সহায়তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হবে। ইউক্রেন দাবি করেছে, অনেক ক্ষেত্রে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

পুতিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, জাতিগত রাশিয়ান ও রুশভাষীদের রক্ষা করতে এই ভোট। যা যা কিয়েভ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, যেসব অঞ্চলে এই গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানকার মানুষকে বাঁচানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে।
এর আগে মস্কো হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, এই গণভোটে যেসব অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে ভোট দেবে সেখানে কোনো হামলাকে রাশিয়া নিজের উপরে হামলা বলে গণ্য করবে। তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা মঙ্গলবার বলেন, নিজেদের ভূখ- উদ্ধার করার সব অধিকার আমাদের আছে। রাশিয়া যাই বলুক না কেনো ইউক্রেন এসব অঞ্চলকে উদ্ধারে যুদ্ধ করে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ