প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনায় প্রবীণদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হারে বেড়েছে। আমাদের প্রবীণরা এ বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় অসীম সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। আসুন, আমরা সবাই প্রবীণদের সুরক্ষিত রাখতে একসঙ্গে কাজ করি।
শনিবার (১ অক্টোবর) ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশের প্রবীণ ব্যক্তিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রবীণ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করেন। সাংবিধানিক অঙ্গীকার প্রতিপালনের জন্য ১৯৯৬ সালে প্রবীণ ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে বয়স্কভাতার প্রচলন করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বাস্তবমুখী নানাবিধ উদ্যোগের কারণে সামাজিক সূচকে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ দশমিক ৪ বছরে উন্নীত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশের অধিক প্রবীণ। ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলস্বরূপ ইতোমধ্যে ২৬২টি উপজেলার শতভাগ বয়স্ক ব্যক্তিকে ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলার শতভাগ প্রবীণ ব্যক্তিদের পরিকল্পিতভাবে বয়স্কভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৫৭ লাখ ১ হাজার জন প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্কভাতা দেয়া হচ্ছে।