মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা বিভিন্ন মডেলের ১০২টি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারি না নেওয়ায় গাড়িগুলো নিলামে তুলছে মোংলা কাস্টমস হাউস।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাটের মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (নিলাম) মো. রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে এবারের নিলামযোগ্য গাড়ির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।আগামী ৪ অক্টোবর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নিলামে উঠছে নিশান, টয়োটাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাইয়েস, নোয়াহ, অ্যালিয়ন, প্রাডোসহ বিভিন্ন মডেলের ১০২টি গাড়ি ও ১০টি অন্যান্য আমদানিপণ্য।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড়িয়ে নেওয়ার নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা করেননি। তাই নিয়মানুযায়ী নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। আগ্রহী ব্যক্তিরা অনলাইন ও সিল করা দরপত্রের মাধ্যমে এ নিলামে অংশ নিতে পারবেন। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি করা হবে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামে ক্রয় করা গাড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বাসার সিদ্দিকী জানান, আগ্রহীরা অনলাইন ও সিল করা টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। এর মধ্যে ই-অকশন ও মোংলা কাস্টমসের ওয়েবসাইটে নিলামের পণ্যের মূল্যসহ ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়েছে। ২-৪ অক্টোবর ই-অকশনের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। তবে অনলাইনে অংশ নিতে দরপত্র কেনার প্রয়োজন নেই।
মোংলা বন্দরের উপসচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের সমুদ্রবন্দর দিয়ে মোট ৩৪ হাজার ৭৮৩টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে ২০ হাজার ৮০৮টি, যা দেশে মোট আমদানির শতকরা ৬০ ভাগ। চলতি অর্থ বছরও এ বন্দর দিয়ে প্রায় দেড় হাজারের মত গাড়ি আমদানি করা হয়েছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ নেয়াজুর রহমান বলেন, মোংলা কাস্টমসের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে আসে। দীর্ঘদিন আমদানিকৃত গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধাও হবে, অন্যদিকে সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।