মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

চিনির দাম আবার বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের

প্রতিনিধির / ১৬৬ বার
আপডেট : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
চিনির দাম আবার বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের
চিনির দাম আবার বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের

খোলা চিনির দাম এখন সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮৯ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।

এক মাসে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে বাজার বিশ্লেষণ করে চিনির দামে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও বাজারে বিক্রি হয়েছে তার চেয়েও অন্তত ৬ টাকা বেশি দরে। চলতি অক্টোবরের শুরুতে চিনির দাম আরও বাড়াতে ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব নিয়ে গেছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার কমিশনের উপ পরিচালক মাহমুদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

তবে এখন কী যুক্তিতে দর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন, সে বিষয়ে চিনি ব্যবসায়ী সমিতির কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ৮৪ টাকায় এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; যদিও বাজারে দাম এর চেয়ে বেশি।

সেই দাম কার্যকর হয়েছে কি না, তা চলমান পূজার ছুটি শেষে পর্যালোচনা করা হবে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) বিভাগের প্রধান এ কে এম আলী আহাদ খান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটা সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করেই করা হয়েছে। সুতরাং নতুন করে দাম বৃদ্ধির আগে আগের আদেশ পালন করতে হবে। পূজার ছুটির পর আমরা এই বিষয়ে তৎপর হব।”

ব্যবসায়ীদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা ট্যারিফ কমিশন খতিয়ে দেখবে। প্রস্তাব আসলে তো সেটা বিশ্লেষণ করতেই হবে।”

ট্যারিফ কমিশনের কর্তকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “প্রতি মাসে একবার মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব চিনি পরিশোধনকারীরা দিয়েই থাকে। সেই হিসাবে অক্টোবর মাসেও এমন একটি প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনও এনিয়ে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ হয়নি”।

তবে ট্যারিফ কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত সেপ্টেম্বরে চিনির যে দাম ঠিক করে দেওয়া হয়, সেটা হচ্ছে ডলারের দর বাংলাদেশে ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া ৯৫ টাকা হিসাবে। কিন্তু এর বাংলাদেশ ব্যাংকই ডলারের দাম উন্মুক্ত করেছে এবং দামও এখন ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সেই হিসাবে বলা যায়, ডলারের মূল্য সমন্বয় করতে গিয়ে হয়ত রেটটা আরেকটু বাড়তে পারে।”

বাংলাদেশে চিনির মোট চাহিদার অধিকাংশই আমদানি করে মেটাতে হয়। দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় চিনিকলগুলো থেকে আসে সর্বোচ্চ এক লাখ টনের মতো চিনি। বাকিটা পূরণ হয় আমদানি থেকে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের বিষয়ে রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম রহমানকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ