শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে না জাহাজ

প্রতিনিধির / ১৩৯ বার
আপডেট : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে না জাহাজ
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে না জাহাজ

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে এ মাসে জাহাজ চলাচল শুরুর কথা থাকলেও তা বন্ধই থাকছে। পর্যটন মৌসুম শেষে গত বছরের এপ্রিলে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়েছিল। তবে পর্যটকরা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং ওই রুটে নাব্য সংকটের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক যুগান্তরকে বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নাব্য সংকট রয়েছে। এজন্য ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংকট কেটে গেলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। মিয়ানমারে সমস্যার করণে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশান কমান্ডার লে. কমান্ডার আশিক আহমেদ বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত হচ্ছে। যেহেতু সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের জলসীমার কাছাকাছি দিয়ে যেতে হয় তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া এ রুটে নাব্য সংকটও রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলার প্যানেল ডিসকাশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অপরিকল্পিত ভবন কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। সেখানে যে হারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তা পর্যটনের সঙ্গে যায় না। এ স্থাপনাগুলোর চাপ সেন্টমার্টিন সহ্য করতে পারছে না। এগুলো বন্ধ করতে কাজ চলছে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে আপাতত টেকনাফ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধে হতাশ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে ক্ষতির মুখে পড়বে হোটেল ও কটেজ ব্যবসায়ী, ভ্যানচালক, জাহাজ মালিক ও শ্রমিক, ট্যুর অপারেটর, গাইট ম্যানসহ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত নানা প্রতিষ্ঠান।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে টেকনাফবাসী ও পর্যটকদের জন্য ক্ষতি হবে। কারণ টেকনাফ থেকে পর্যটক এলে টেকনাফের মানুষ যেমন লাভবান হয়, তেমনি আমরাও দ্রুত জাহাজে আসা-যাওয়া করতে পারি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এ সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন যুগান্তরকে বলেন, টেকনাফ জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে প্রায় দুই শতাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। কারণ দ্বীপের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ