দেশের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় অন্যতম অলোচ্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ। ১৯৩৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের হাত ধরে বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইন্সটিটিউট নামে এর যাত্রা শুরু এই বিদ্যাপীঠ। ১০ জন মুসলমান ও ১০ জন হিন্দু ছাত্র নিয়ে শুরু হয় পাঠদান। পরবর্তীতে ইস্ট পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইন্সটিটিউট হিসেবে ছিল অনুষদটি। ২০০১ সালে কৃষি অনুষদকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
শহরের বুকে সবুজ ক্যাম্পাসের মধ্যে আরো একটুখানি সৌন্দর্য এবং ইতিহাসের সাক্ষী এই কৃষি অনুষদ। অনুষদটিতে কীটতত্ত্ববিদ্যা (এন্টোমলজি), কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন (জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং), উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব (প্ল্যান্ট প্যাথলজি), কৃষি রসায়ন (এগ্রিকালচার কেমিস্ট্রি) সহ মোট ১৪টি বিভাগে অধ্যয়ন করছেন দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী। অনুষদটিতে রয়েছে ৭টি ক্লাসরুম, দুইশতাধিক আসন বিশিষ্ট পরীক্ষার হল।
কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল রোগমুক্ত ফসলের জাত সংযোজনে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অনুষদটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষদের ছাদে রয়েছে চলমান বেশ কিছু গবেষণা প্রজেক্ট। পাশাপাশি অনুষদটিতে রয়েছে মিলনায়তন ও সেমিনার রুম।
প্রতিবছর ৭০০ শিক্ষার্থী অনুষদটিতে অধ্যয়নের সুযোগ পায়। তাছাড়াও স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ডিগ্রি সমূহে মাঠ পর্যায়ে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হয়।
সুদীর্ঘ ৮৪ বছর ধরে সগৌরবে দেশের উন্নয়নে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃষি অনুষদ