ইরানে পুলিশ হেফাজতে তরুণীর মৃত্যু নিয়ে চলমান বিক্ষোভে শামিল হলো স্কুলশিক্ষার্থীরাও। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) হিজাব খুলে দেশটির ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তারা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরানে শুরু হয় এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ। অভিযোগ, হিজাব ইস্যুতে পুলিশ হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু। দিন দিন বিক্ষোভ রূপ নেয় সহিংসতায়। চলমান প্রতিবাদ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে এরই মধ্যে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এবার ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হলো স্কুলশিক্ষার্থীরাও। মঙ্গলবার মাথা থেকে হিজাব খুলে বাতাসে দুলিয়ে এবং ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভের বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তেহরানে বিক্ষোভে বাধা দেয়ায় এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে।
ইরান ছাড়া এদিন বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। জার্মানির বার্লিনে বিক্ষোভে চুল কেটে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। ইরান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করায় ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটন তেহরানের জনগণের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এরই মধ্যে বাইডেনের কথার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার আগে বাইডেনের উচিত তার নিজের দেশের মানবাধিকারের রেকর্ড সম্পর্কে চিন্তা করা। দেশটি মানবাধিকার নিয়ে ভণ্ডামি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এমনকি ইরানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের স্পষ্ট উদাহরণ বলেও উল্লেখ করা হয়।