ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত কলেজের পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে ঘুষ গ্রহণ, চাঁদা দাবি, নিম্নপদস্থ কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়ার আশ্বাসে অর্থ আদায়, দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তৈয়ব আলীকে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে বদলি করা হয়। সেইসঙ্গে সার্বিক বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে এক চিঠিতে তৈয়ব আলীর বদলি চেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ১৩৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে অনুরোধ জানান। এ নিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সমকাল অনলাইনে ”ঢাবির সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ‘অনিয়ন্ত্রকের ভূমিকায়” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার নতুন অফিসে যোগ দিয়েছেন তৈয়ব আলী। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নোট তৈরি করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টিএসসির ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে বদলি করেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পোস্ট দিয়েছেন তৈয়ব আলী। সেইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জনগণের কাছে বিচার চেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কর্মপরিবেশ নষ্ট করা, সহকর্মীদের অস্বস্তিবোধ এবং বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে প্রাথমিকভাবে তাকে ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। আরও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।