বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

এপিএ মূল্যায়নে ৫ ধাপ পিছিয়েছে সিকৃবি

প্রতিনিধির / ৩০০ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২
এপিএ মূল্যায়নে ৫ ধাপ পিছিয়েছে সিকৃবি
এপিএ মূল্যায়নে ৫ ধাপ পিছিয়েছে সিকৃবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মূল্যায়নে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে সিকৃবির প্রাপ্ত নম্বর ৫২.১৩।

কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহে প্রাপ্ত স্কোর ৭০ নম্বরে ৪৬.৯৮, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনায় প্রাপ্ত স্কোর ১০ নম্বরে ৫.৪৮, ই গভার্নেন্স/ উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনায় প্রাপ্ত স্কোর ১০ নম্বরে ৪.৬, অভিযোগ প্রতিকার অবস্থা কর্মপরিকল্পনা ৪ নম্বরে ১.২৮ এবং সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনায় কোন নাম্বার তুলতে পারেনি বুটেক্স।

সম্প্রতি ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশের ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এপিএ মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিকৃবির নম্বর ৫২.১৩ যা ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে ৫.৪৪ নম্বর বেশি। এপিএ নম্বর বাড়লেও ৫ ধাপ পিছিয়েছে সিকৃবি। ২০২০-২১ অর্থ বছরে দেশের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬.৬৯ নম্বর নিয়ে সিকৃবির অবস্থান ছিল ২৮।

সিকৃবি এপিএ এর ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা সিকৃবির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ রোশন আলী বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রাত ৮ টা ৯ টা পর্যন্ত কাজ করে যতটুকু সম্ভব প্রতিবেদন তৈরি করেছি। তিনি বলেন, সামনের অর্থ বছরে আমরা ভালো নম্বর পাবো আশা করছি, কিন্তু খুব বেশি উন্নতি করা যাবে না। তবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিকৃবি বেশ ভালো অবস্থানে থাকবে বলে জানান তিনি।

২০২০-২১ অর্থ বছরে সিকৃবি এপিএ ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা এডিশনাল রেজিস্ট্রার ফাতেহা শিরীন বলেন, আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় যে সময় পেয়েছি সেই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফাইল হাতে না পাওয়ায় আমি সব ফাইলের তথ্য দিতে পারিনি। এর ফলে গত অর্থ বছরে সিকৃবির নম্বর কিছুটা কম ছিল বলে জানান তিনি।

৯৯.৪৭ নম্বর নিয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরের মত ২০২১-২২ অর্থ বছরেও সবার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)।

এপিএতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ঐচ্ছিক কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহে ৭০ নম্বর এবং আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহে ৩০ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।

এপিএতে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জন করলে অসাধারণ, ৯০ ভাগ অর্জন করলে অতি উত্তম, ৮০ ভাগ অর্জন করলে উত্তম, ৭০ ভাগ অর্জন করলে চলতি মান এবং ৬০ ভাগ অর্জন করলে চলতি মানের চেয়ে কম গ্রেড পাওয়া যায়। তবে কর্মসম্পাদন সূচকে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত অর্জন ৬০ ভাগের নিচে হলে এপিএতে গ্রেডের মান শূন্য ধরা হয়।

উল্লেখ্য, মূলত একটি প্রতিষ্ঠানে/সংস্থায় সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সাল থেকে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে সে মোতাবেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Categories