ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে উত্থান হয় নেইমারের। ২০১৩ সালে উদীয়মান প্রতিভাবে স্পেনে নিয়ে আসে বার্সেলোনা। সেসময় রোনালদো, রোনালদিনহো, কাকাদের পর নেইমারকে সেলেসাওদের সম্ভাব্য উজ্জ্বলতম তারকা ভাবা হতো। ছন্দময় ফুটবলে নেইমারও হতাশ করেননি ভক্ত-সমর্থকদের। জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জিততে না পারলেও দীর্ঘদিন ধরে সেলেসাও শিবিরে রাজত্ব করছেন পিএসজি তারকা। এবার কাতার বিশ্বকাপে শিরোপার আক্ষেপ ঘোচানোর স্বপ্ন দেখছেন নেইমার। আর পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ জিততে চান তিনি।
২০১০ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হয় নেইমারের। দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি নেইমার। ২০১৯ সালে ব্রাজিল কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হলেও চোটের কারণে সেই দলে ছিলেন না নেইমার। এবার কাতার বিশ্বকাপে শিরোপার স্বাদ নিতে চান তিনি।
এদিকে বর্ণাঢ্য ক্লাব ইতিহাসে কোনো চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা নেই পিএসজির। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে ভিড়িয়ে সেই অভাব মোচনের স্বপ্ন দেখেছিল লা প্যারিসিয়ানরা। এবার ক্লাবের স্বপ্ন সত্যি করতে চান নেইমার।
সম্প্রতি পিএসজি টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘এই বছরের লক্ষ্য হলো উভয় দলের হয়ে শিরোপা জেতা। পিএসজি ও ব্রাজিলের জার্সিতে সবকিছু জেতা। আমাদের সামনে একটি বিশ্বকাপ এবং আমরা জানি এই প্রতিযোগিতা কতটা কঠিন। কিন্তু আমি এটা জয়ের স্বপ্ন দেখি, যেমনটা দেখি শিগগির পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতা। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
নতুন মৌসুমে দারুণ ছন্দে রয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। ফরাসি লিগ ওয়ানে ৯ ম্যাচে ৮ গোল তার। অ্যাসিস্ট করেছেন সাত গোলে। চ্যাম্পিয়নস লীগে ৩ ম্যাচে ১ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট নেইমারের। গত মাসে ফিফা উইন্ডোতে ব্রাজিলের হয়েও জালের দেখা পেয়েছেন তিনি। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে তার গোল ৭৫টি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলেকে ছুঁতে আর ২ গোল প্রয়োজন নেইমারের।