উত্তর কোরিয়া রোববার ভোরে আরো দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে জাপানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এ নিয়ে সপ্তম বারের মতো এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল পিয়ংইয়ং। এই সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ফলে, ওয়াশিংটন এবং টোকিওতে ব্যাপক শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোশিরো ইনো সংবাদদাতাদের বলেন, দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং সেগুলো ছিল ৩৫০ কিলোমিটার দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। প্রথমটি স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে, এবং অপরটি তার প্রায় ছয় মিনিট পরে ছোঁড়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণের পর, মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে তারা ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘অস্থিতিশীল প্রভাবকে’ তুলে ধরেছে তারা।
তারপরও, যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করেছে যে সর্বসাম্প্রতিক উৎক্ষেপণগুলো আমেরিকান কিংবা তাদের মিত্রদের জন্য কোনো হুমকির সৃষ্টি করেনি।
হাওয়াই-ভিত্তিক ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, কোরিয়া ও জাপান প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিগুলো এখনো কঠিন শক্ত আবরণে রয়ে গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত আগের চেয়ে অনেক দূর পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো জাপানের উপর দিয়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে তারা।
২৫ সেপ্টেম্বরের পর, এটি এই ধরনের সপ্তম উৎক্ষেপণ। ইনো বলেন, টোকিও উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ বারবার সহ্য করবে না।
জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। শনিবার দেশটি বলেছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো সরাসরি আমেরিকান সামরিক হুমকির বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য এবং এতে প্রতিবেশী দেশ ও অঞ্চলের নিরাপত্তার কোনো ক্ষতি সাধন হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া শুক্রবার এক যৌথ সামুদ্রিক মহড়া করেছে। আপাতত উত্তর কোরিয়ার বোমা হামলার মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় সোওল ফাইটার জেটগুলোর মহড়ার এক দিন পর ওই মহড়া চালানো হয়।
উত্তর কোরিয়ার সর্বসাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার নতুন করে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।