শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানকালে জেলেদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকার মাঝ পদ্মায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলায় যে ১০ জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- পাইনপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৪২), বড়কান্দি এলাকার ফজলের ছেলে শানোয়ার (২০), বড় নওপাড়া এলাকার দবির আকনের ছেলে রিয়াদ (২২), আব্দুল বেপারি কান্দির করিম মালতের ছেলে আক্কাস মালত (৪০), একই এলাকার মোকলেছের ছেলে মোক্তার মিয়া (২০) ও আক্কাস মোড়লের ছেলে রাজিব মিয়া (২৮), বাওদিয়া এলাকার মালেক বেপারীর ছেলে শাকিল (১৯), ধোলাইপাড় এলাকার কাশেম সরকারের ছেলে মনির হোসেন (২৬), মোহর আলী মাদবর কান্দি এলাকার হান্নান ফকিরের ছেলে সুজাত ফকির (২০) এবং একই এলাকার আব্দুল হান্নান ফকিরের ছেলে বাবুল ফকির (৪০)।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনও মো. কামরুল হাসান সোহেল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসাইন ও মাঝীরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল হক দল নিয়ে পদ্মা নদীতে অভিযানে যান। এ সময় ইলিশ ধরা অবস্থায় ১০ জেলেকে আটক করা হয়।
জেলেদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া তিন কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করে স্থানীয় রূপ বাবুরহাট মাদরাসা ও এতিমখানায় বিলি করে দেয়া হয়।