শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

উৎসব ঘিরেই লেনদেন–জমার রেকর্ড

প্রতিনিধির / ৮৮ বার
আপডেট : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২
উৎসব ঘিরেই লেনদেন–জমার রেকর্ড
উৎসব ঘিরেই লেনদেন–জমার রেকর্ড

এখন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি শহরে বসবাসকারী নাগরিকেরাও মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) সুবিধা নিচ্ছেন। মানুষের মধ্যে ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি এই সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানো ও গ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিল পরিশোধ, কেনাকাটা, মোবাইল রিচার্জ, টাকা জমানো, ঋণ গ্রহণসহ নানা ধরনের লেনদেন করা যাচ্ছে। এর ফলে দিন দিন বাড়ছে এমএফএসের ব্যবহার।

তবে উৎসব-পার্বণে এসব সেবার ব্যবহার বেড়ে যায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। এতে এমএফএস লেনদেনের পাশাপাশি গ্রাহকের হিসাবে

উদ্বৃত্ত টাকায় নতুন রেকর্ড হচ্ছে। কারণ, উৎসব–পার্বণে অনেকের বেতন-বোনাস হয় এমএফএস হিসাবে। আবার বিদেশ থেকেও প্রবাসী আয় আসা বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে এমএফএস সেবার আওতায় লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। আর ওই মাসে গ্রাহকের হিসাবে জমা ছিল ১২ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। দুটোই এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এপ্রিল ছিল পবিত্র রমজান মাস ও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উদ্‌যাপিত হয় ঈদুল ফিতর।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ও ডাক বিভাগের সেবা নগদ মিলে দেশে এখন এমএফএস প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, এমক্যাশ, মাইক্যাশ, ট্যাপ।

গত জুলাই শেষে এসব সেবায় নিবন্ধিত গ্রাহক ছিলেন ১৮ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৩ জন। তবে সক্রিয় গ্রাহক ৮ কোটির কম। একজন নাগরিক সব ধরনের এমএফএসে হিসাব খুলতে পারেন, ফলে ঠিক কতজন নাগরিক এই সেবায় যুক্ত হয়েছেন, তা উল্লেখিত হিসাব থেকে নিশ্চিত করা বলা যায় না। তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন এ সেবা পৌঁছে গেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, এখন সরকারি বিভিন্ন ভাতা, অনুদানও বিভিন্ন এমএফএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

গত জুলাইয়ে বিভিন্ন এমএফএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। জুনে লেনদেন হয়েছিল ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। গত এপ্রিলের পর জুনেই সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। কারণ, জুলাইয়ের শুরুতে ছিল কোরবানির ঈদ। আর এই কারণে জুনে লেনদেনও হয় বেশি।

ঈদ-পূজার মতো উৎসব এলেই কেনাকাটা বাড়ে।

এই সময় প্রবাসী আয় আসাও বেড়ে যায়। আবার বেতন ও বোনাসও যায় গ্রাহকের হিসাবে। এই সময়ে উৎসবের আনন্দ বাড়াতে আমরাও কেনাকাটায় নানা অফার দিয়ে থাকি। এ জন্য লেনদেনও বেড়ে যায়।’

এদিকে গ্রাহকেরা যে পরিমাণ টাকা হিসাবে জমা করেন, তার পুরোটাই ব্যবহার করেন না। ফলে খরচের পরও গ্রাহকের কিছু টাকা তাঁর নিজের হিসাবে জমা থেকে যায়। এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এই টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখেন, কেউ সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেন। এই টাকা থেকে বড় সুদ আয় করে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর কেউ যাতে গ্রাহকের এই টাকার অপব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে ‘ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট’ নীতিমালা। গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতিমালা তৈরি করে।

গত জুলাইয়ে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকের হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। তবে সর্বোচ্চ টাকা জমা ছিল গত এপ্রিলে, ১২ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। এরপর গত জুনে জমা ছিল সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুই ঈদের আগের মাসে সর্বোচ্চ টাকা জমা ছিল গ্রাহকের হিসাবে। এই দুই মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনও হয়। ফলে যে মাসে যত লেনদেন, সেই মাসে এমএফএসের তত মুনাফা। এ জন্য উৎসবে কেনাকাটায় নানা ছাড় দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

নগদের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদুল ইসলাম

ঈদ-পূজার মতো উৎসব এলেই কেনাকাটা বাড়ে।

এই সময় প্রবাসী আয় আসাও বেড়ে যায়। আবার বেতন ও বোনাসও যায় গ্রাহকের হিসাবে। এই সময়ে উৎসবের আনন্দ বাড়াতে আমরাও কেনাকাটায় নানা অফার দিয়ে থাকি। এ জন্য লেনদেনও বেড়ে যায়।’

এদিকে গ্রাহকেরা যে পরিমাণ টাকা হিসাবে জমা করেন, তার পুরোটাই ব্যবহার করেন না। ফলে খরচের পরও গ্রাহকের কিছু টাকা তাঁর নিজের হিসাবে জমা থেকে যায়। এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এই টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখেন, কেউ সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেন। এই টাকা থেকে বড় সুদ আয় করে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর কেউ যাতে গ্রাহকের এই টাকার অপব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে ‘ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট’ নীতিমালা। গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতিমালা তৈরি করে।

গত জুলাইয়ে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকের হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। তবে সর্বোচ্চ টাকা জমা ছিল গত এপ্রিলে, ১২ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। এরপর গত জুনে জমা ছিল সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুই ঈদের আগের মাসে সর্বোচ্চ টাকা জমা ছিল গ্রাহকের হিসাবে। এই দুই মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনও হয়। ফলে যে মাসে যত লেনদেন, সেই মাসে এমএফএসের তত মুনাফা। এ জন্য উৎসবে কেনাকাটায় নানা ছাড় দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

নগদের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঈদ বা যেকোনো উৎসবের আগে মানুষের কাছে বেতন-বোনাস মিলিয়ে বাড়তি টাকা থাকে। এ সময়ে নানা ছাড়ও দেওয়া হয়। এ ধরনের ছাড় গ্রাহকদের এমএফএস ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলে। এতে লেনদেন বেড়ে যায়। এ জন্য ব্যবহারের পরও কিছু টাকা হিসাবে থেকে যায়।

এদিকে এমএফএসগুলোতে জুলাইয়ে যে লেনদেন হয়েছে, তার ৫৮ শতাংশ জমা ও উত্তোলন। আর ২৭ শতাংশই এক গ্রাহক থেকে অপর গ্রাহকের কাছে অর্থ পাঠানো। আর ৩ শতাংশ হচ্ছে কেনাকাটায়, সাড়ে ৩ শতাংশ বেতন–ভাতা প্রদানে। এ ছাড়া মোবাইল রিচার্জ, পরিষেবা বিল, সরকারি ভাতাও দেওয়া হচ্ছে এসব সেবার মাধ্যমে।

বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে এটির নাম বদলে হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমএফএস সেবা চালু করে বিকাশ।

ঈদ বা যেকোনো উৎসবের আগে মানুষের কাছে বেতন-বোনাস মিলিয়ে বাড়তি টাকা থাকে। এ সময়ে নানা ছাড়ও দেওয়া হয়। এ ধরনের ছাড় গ্রাহকদের এমএফএস ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলে। এতে লেনদেন বেড়ে যায়। এ জন্য ব্যবহারের পরও কিছু টাকা হিসাবে থেকে যায়।

এদিকে এমএফএসগুলোতে জুলাইয়ে যে লেনদেন হয়েছে, তার ৫৮ শতাংশ জমা ও উত্তোলন। আর ২৭ শতাংশই এক গ্রাহক থেকে অপর গ্রাহকের কাছে অর্থ পাঠানো। আর ৩ শতাংশ হচ্ছে কেনাকাটায়, সাড়ে ৩ শতাংশ বেতন–ভাতা প্রদানে। এ ছাড়া মোবাইল রিচার্জ, পরিষেবা বিল, সরকারি ভাতাও দেওয়া হচ্ছে এসব সেবার মাধ্যমে।

বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে এটির নাম বদলে হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমএফএস সেবা চালু করে বিকাশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ