পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে চতুর্থ সপ্তাহেও রীতিমতো রণাঙ্গন ইরান। রোববার (৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস। নিহতদের মধ্যে ১৯ শিশুও রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার কারণে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে গ্রেফতার করে ইরানের নৈতিক পুলিশ। এরপর ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গেলে তাকে ‘মারধরের’ অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা।
এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তেজিত জনতা। রাজধানী তেহরানের রাজপথে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করলে নিহত হন আধা সামরিক বাহিনীর কয়েকজন। এতে পুলিশও পাল্টা চড়াও হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। উত্তেজিত জনতাও পুলিশ বুথে আগুন দেয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
এর মধ্যেই ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হ্যাক করেছে প্রতিবাদকারীরা। শনিবার (৮ অক্টোবর) টেলিভিশন সম্প্রচার হতেই পর্দায় ভেসে ওঠে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ছবি। এর মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরই সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে, ইরানে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমনপীড়নকারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জার্মানি। একই সঙ্গে তাদের সম্পত্তি জব্দ করার কথাও জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক।
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপে এরই মধ্যে ১৬টি প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানিসহ ফ্রান্স, ডেনমার্ক, স্পেন, ইতালি ও চেক প্রজাতন্ত্র। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে প্রত্যাশা দেশগুলোর