সোমবার ইউক্রেনজুড়ে শতাধিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৯৭ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনে জার্মানির দূতাবাসে আঘাত হেনেছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ।
তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জবাবেই এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো।
সোমবার একের পর এক বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ। আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে বাসিন্দারা।
কিয়েভ ছাড়াও একই দৃশ্য দেখা যায় লভিভ, পলতভা, সুমি, টারনোপিলসহ কয়েকটি অঞ্চলে।
ইউক্রেনের দাবি, একদিনে অন্তত ৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার মধ্যে ৪৩টি ভূপাতিত করার দাবি তাদের। রুশ অভিযান শুরুর পর কিয়েভে এটি রেকর্ড বিস্ফোরণের ঘটনা।
হামলায় বিভিন্ন স্থাপনা, ভবন ও গাড়িতে আগুন ধরে যায়। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কয়েকটি অঞ্চল। ঘটে হতাহতের ঘটনা।
স্থানীয়দের ভাষায়, চোখের সামনে একের পর এক ভবন ধসে পড়তে দেখেছি। বিস্ফোরণের শব্দে আমরা দৌড়াতে শুরু করি। হামলায় অনেকেই আহত হয়েছে। চারপাশে শুধু ভয় আর আতঙ্ক।
ইউক্রেনে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি গিয়ে পড়ে জার্মান দূতাবাসে। এতে সেখানকার ভিসা অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
তবে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকেই ভবনটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে রোমানিয়ার দূতাবাসের সামনে।
ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতেই পুরো ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি ইউক্রেনের যেকোনো হামলার কঠোর জবাবেরও হুঁশিয়ারি তার।
তবে কিয়েভের দাবি, ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের আগে থেকেই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলার পরিকল্পনা করেছিল মস্কো।
ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা মিত্ররা বেলারুশে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। হুমকি মোকাবিলায় এরই মধ্যে ইউক্রেনের কাছে রুশ বাহিনীর সাথে যৌথভাবে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।