দীর্ঘ মহামারির পর স্বশরীরে আবারও শুরু হলো বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভা। ১০ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে শুরু হয় এ সভা।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং আইএমএফ এমডি ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শুরতেই মানবতাকে বাঁচাতে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধানদের বিবেককে জাগ্রত করার আহ্বান জানান। তা না হলে পুরো বিশ্ব আবারও মহা মন্দার কবলে পড়তে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে তারা ‘সেন্সলেস ওয়ার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্য অনেকেই হয়ত সময় মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবে না। কাজেই লেন-দেন ভারসাম্যের চাপে থাকা সদস্যদের ৪৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের কিস্তি পরিশোধে উন্নয়ন সহযোগিদের একসাথে কাজ করতে হবে।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হওয়া ৭ দিনের এই বৈঠকে বিশ্বের ১৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় আগত অতিথিদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়।
বার্ষিক সভার প্রথম দিনে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার আলোচনায় একটা ধারণা পাওয়া গেলো এই বৈঠকের অগ্রাধিকারগুলো সম্পর্কে। কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার হতে না হতেই, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে শ্লথ করে মন্দার শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ২০২৬ সাল পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার যা জার্মানীর অর্থনীতির সমান।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, স্বল্প সুদে সহজ শর্তের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসিসট্যান্স আইডিএ ঋণের ওপর নির্ভরশীল উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থা ভেবে শঙ্কিত তিনি।
এবারের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করে। আগামী ১৬ অক্টোবর পযর্ন্ত চলবে বার্ষিক এই সাধারণ সভা।