ময়মনসিংহে এসএসসি পরীক্ষার্থী শান্ত রহমানকে (১৭) খুনের ঘটনায় তারিকুল ইসলাম মিলন ও রবিউল হাসান শুভ নামের দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ইমেইল বার্তায় বলা হয়, ‘শান্ত রহমানকে খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মাদক নিয়ে বিরোধে ভাড়াটে খুনি দিয়ে শান্তকে হত্যা করে দুই বন্ধু। ঘটনার পর থেকে ওই দুই বন্ধু পলাতক রয়েছে। তদন্তেরে স্বার্থে পলাতক দুজনের নাম প্রকাশ করা যাবেনা।’
বার্তায় ওসি শফিকুল বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত খুনিদের অপর দুই সহযোগী তারিকুল ইসলাম লিমন (১৭) ও রবিউল হাসান শুভকে (১৭) উপজেলার কান্দিগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাদের ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ ও ইকবাল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। তারা ১৬৪ ধারায় হত্যায় ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, নিহতের দুই বন্ধু তাদের ভাড়া করেছিল।’
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তাগাছার গরুহাটা এলাকায় শান্তকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শান্ত। এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর শান্তর বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। পরে ছয় দিনের মাথায় ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার দুই কিশোরেক গাজিপুর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।’
নিহত শান্ত রহমান মুক্তাগাছা পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মুক্তাগাছা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির ছেলে।