বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন

গ্যাস সঙ্কটে গতিহারা পোশাক খাত

প্রতিনিধির / ৯৫ বার
আপডেট : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
গ্যাস সঙ্কটে গতিহারা পোশাক খাত
গ্যাস সঙ্কটে গতিহারা পোশাক খাত

পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, গ্যাস সঙ্কটে তাদের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে; এ অবস্থা চললে সামনে বড় বিপদের মুখে পড়তে হবে।

এক সময় রাত-দিন সচল থাকলেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ডাইং অ্যান্ড ক্যালেন্ডারিং মিলসে গত কয়েক মাসে কাজের সময় নেমেছে আট-নয় ঘণ্টায়, পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় সেপ্টেম্বরে উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে; সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা হারানোর শঙ্কায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।

কারখানার মালিক ফজলে শামীম এহসান বলেন, ডাইং কারখানা গ্যাস ছাড়া উৎপাদন সম্ভব না। অথচ গত কয়েক মাস ধরে গ্যাসের চাপ থাকে একেবারেই কম।

“যেখানে ১৫ পিএসআই থাকার কথা, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র দেড় থেকে দুই পিএসআই। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন পিএসআই উঠেছে। তাতে শিপমেন্ট সময়মত দিতে পারছি না।”

গত সেপ্টেম্বরে উৎপাদন ৬০ শতাংশ ব্যাহত হওয়ার হিসাব দিয়ে শামীম বলেন, “বিদেশি ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। তারা আস্থা হারাচ্ছেন আমাদের ওপর।”

নারায়ণগঞ্জের মত শিল্প নগরী গাজীপুরেও গ্যাসচালিত শিল্পের চাকা গতি হারাচ্ছে। গত জুলাইয়ে দেশে গ্যাসের সঙ্কট যখন বেড়ে গেল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল সরকারের।

কিন্তু বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার নিজেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, নভেম্বরের আগে গ্যাস সঙ্কট দূর কমার আশা দেখছেন না তিনি।

এদিকে গ্যাস সঙ্কটে উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়লে কারখানাগুলো শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম।

তার ভাষ্য, এমনিতেই ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে অবস্থা খারাপ। তার উপর গ্যাস সঙ্কটের কারণে শিল্প কারখানাগুলোর এ পরিস্থিতি সামনে ‘আরও খারাপ’ অবস্থা তৈরি করতে পারে।

“শিপমেন্ট ঠিকমত দিতে না পারলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যাবে না। তাতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। আগামী মাসেই (নভেম্বর) এমন এক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।”

বিকেএমইএর হিসাবে, নারায়ণগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮ শতাধিক পোশাক কারখানা রয়েছে। সংগঠনটির তালিকাভুক্ত ডাইং কারখানার সংখ্যাই ১১৩টি। এর বাইরেও জেলায় আরও ডাইং কারখানা রয়েছে। ডাইং কারখানা মূলত গ্যাসনির্ভর। এ ছাড়া কিছু কারখা

এক সময় রাত-দিন সচল থাকলেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ডাইং অ্যান্ড ক্যালেন্ডারিং মিলসে গত কয়েক মাসে কাজের সময় নেমেছে আট-নয় ঘণ্টায়, পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় সেপ্টেম্বরে উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে; সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা হারানোর শঙ্কায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।

কারখানার মালিক ফজলে শামীম এহসান বলেন, ডাইং কারখানা গ্যাস ছাড়া উৎপাদন সম্ভব না। অথচ গত কয়েক মাস ধরে গ্যাসের চাপ থাকে একেবারেই কম।

“যেখানে ১৫ পিএসআই থাকার কথা, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র দেড় থেকে দুই পিএসআই। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন পিএসআই উঠেছে। তাতে শিপমেন্ট সময়মত দিতে পারছি না।”

গত সেপ্টেম্বরে উৎপাদন ৬০ শতাংশ ব্যাহত হওয়ার হিসাব দিয়ে শামীম বলেন, “বিদেশি ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। তারা আস্থা হারাচ্ছেন আমাদের ওপর।”

নারায়ণগঞ্জের মত শিল্প নগরী গাজীপুরেও গ্যাসচালিত শিল্পের চাকা গতি হারাচ্ছে। গত জুলাইয়ে দেশে গ্যাসের সঙ্কট যখন বেড়ে গেল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল সরকারের।

কিন্তু বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার নিজেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, নভেম্বরের আগে গ্যাস সঙ্কট দূর কমার আশা দেখছেন না তিনি।

এদিকে গ্যাস সঙ্কটে উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়লে কারখানাগুলো শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম।

তার ভাষ্য, এমনিতেই ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে অবস্থা খারাপ। তার উপর গ্যাস সঙ্কটের কারণে শিল্প কারখানাগুলোর এ পরিস্থিতি সামনে ‘আরও খারাপ’ অবস্থা তৈরি করতে পারে।

“শিপমেন্ট ঠিকমত দিতে না পারলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যাবে না। তাতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। আগামী মাসেই (নভেম্বর) এমন এক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।”

বিকেএমইএর হিসাবে, নারায়ণগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮ শতাধিক পোশাক কারখানা রয়েছে। সংগঠনটির তালিকাভুক্ত ডাইং কারখানার সংখ্যাই ১১৩টি। এর বাইরেও জেলায় আরও ডাইং কারখানা রয়েছে। ডাইং কারখানা মূলত গ্যাসনির্ভর। এ ছাড়া কিছু কারখানায় ক্যাপটিভ জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়।

 

এক সময় রাত-দিন সচল থাকলেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ডাইং অ্যান্ড ক্যালেন্ডারিং মিলসে গত কয়েক মাসে কাজের সময় নেমেছে আট-নয় ঘণ্টায়, পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় সেপ্টেম্বরে উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে; সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা হারানোর শঙ্কায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।

কারখানার মালিক ফজলে শামীম এহসান বলেন, ডাইং কারখানা গ্যাস ছাড়া উৎপাদন সম্ভব না। অথচ গত কয়েক মাস ধরে গ্যাসের চাপ থাকে একেবারেই কম।

“যেখানে ১৫ পিএসআই থাকার কথা, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র দেড় থেকে দুই পিএসআই। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন পিএসআই উঠেছে। তাতে শিপমেন্ট সময়মত দিতে পারছি না।”

গত সেপ্টেম্বরে উৎপাদন ৬০ শতাংশ ব্যাহত হওয়ার হিসাব দিয়ে শামীম বলেন, “বিদেশি ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। তারা আস্থা হারাচ্ছেন আমাদের ওপর।”

নারায়ণগঞ্জের মত শিল্প নগরী গাজীপুরেও গ্যাসচালিত শিল্পের চাকা গতি হারাচ্ছে। গত জুলাইয়ে দেশে গ্যাসের সঙ্কট যখন বেড়ে গেল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল সরকারের।

কিন্তু বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার নিজেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, নভেম্বরের আগে গ্যাস সঙ্কট দূর কমার আশা দেখছেন না তিনি।

এদিকে গ্যাস সঙ্কটে উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়লে কারখানাগুলো শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম।

তার ভাষ্য, এমনিতেই ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে অবস্থা খারাপ। তার উপর গ্যাস সঙ্কটের কারণে শিল্প কারখানাগুলোর এ পরিস্থিতি সামনে ‘আরও খারাপ’ অবস্থা তৈরি করতে পারে।

“শিপমেন্ট ঠিকমত দিতে না পারলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যাবে না। তাতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। আগামী মাসেই (নভেম্বর) এমন এক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।”

বিকেএমইএর হিসাবে, নারায়ণগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮ শতাধিক পোশাক কারখানা রয়েছে। সংগঠনটির তালিকাভুক্ত ডাইং কারখানার সংখ্যাই ১১৩টি। এর বাইরেও জেলায় আরও ডাইং কারখানা রয়েছে। ডাইং কারখানা মূলত গ্যাসনির্ভর। এ ছাড়া কিছু কারখানায় ক্যাপটিভ জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়।

ঘাটতি কতটা?

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার হিসাবে, চার মাস আগে গত ১০ জুন দেশে দৈনিক ৩ হাজার ৭৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ১১৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট।

সেসময় এলএনজি আকারে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আসা গ্যাসের জোগান ছিল দৈনিক ৭৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট আর দেশীয় গ্যাসকূপগুলো থেকে আসত বাকি ২ হাজার ৩৬২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট।

১০ অক্টোবরে এসে দেশে মোট গ্যাস সরবরাহ করা গেছে ২ হাজার ৬৭১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ চার মাস আগের সময়ের তুলনায় সরবরাহ কমেছে ১৪ শতাংশের মত।

দেশীয় গ্যাসকূপ থেকে ১০ অক্টোবর উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, এলএনজি থেকে এসেছে ৩৮০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

অর্থাৎ, এই চার মসে দেশীয় কূপ থেকে সরবরাহ যেখানে কমেছে ৩ শতাংশ, এলএনজির পরিমাণ কমে হয়েছে অর্ধেক।

ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাসের সরবরাহও কমছে। দৈনিক ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১০ অক্টোবর তিতাস ১ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পেরেছে। চার মাস আগে ১০ জুন সরবরাহ ছিল ১ হাজার ৭২০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

কী বলছে বিদ্যুত-জ্বালানি বিভাগ?

অক্টোবর আগে গ্যাস আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে চাইলেও তা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

সোমবার তিনি বলেন, “এটা সাময়িক সমস্যা হিসাবে আমরা ভেবেছিলাম, কিন্তু সেটা আর সাময়িক হচ্ছে না। বিশ্ব পরিস্থিতি সবকিছুকে অন্যরকম করে দিচ্ছে।”

গ্যাস সংকটে আরও এক থেকে দুই মাস ‘কষ্ট’ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই মাসটা (অক্টোবর) কষ্ট করতেই হবে। সামনের মাসে আরেকটু ভালো করার চেষ্টা আমরা করছি। আমাদের টার্গেট হচ্ছে, মিল কারখানায় গ্যাসের চাহিদা আগে পূরণ করতে চাচ্ছি।

“বিশেষ করে রপ্তানিমুখী ইন্ডাস্ট্রিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অন্তত গত মাসের ক্রয়াদেশগুলো যেন তারা পূরণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। সার কারখানাকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সে কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সবগুলো বিষয় একসাথে এসে যোগ হয়েছে।”

গাস সঙ্কটের কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “গ্যাস আনতে না পারায় নভেম্বরের আগে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই। আমরা দিনের বেলা কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখছি।

“আবার দিনে যেগুলো চালাচ্ছি, সেগুলো রাতে বন্ধ রাখছি। এজন্য লোডশেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ