নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীল করে তুলতে চান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “নতুন প্রজন্মকে মুক্ত চিন্তা ও যুক্তিবাদী, বিজ্ঞান মনস্ক, প্রযুক্তি বান্ধব, প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে বিতর্ক চর্চার ঐতিহ্য রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে বিতর্কের আয়োজন নেই সেখানে চালু করতে এবং যেখানে আছে সেখানে আরো ভাল করতে চাই। আর আমরা চাই, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ক্লাব ভিত্তিক এই বিতর্ক চর্চা গড়ে উঠবে।”
বিতর্ক চর্চার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, “বিতর্ক চর্চা একজন মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখায় এবং ভাষার ওপর দক্ষ করে তোলে। এটি যে কোনো বিষয় নিয়ে পাঠ্য বইয়ের বাইরেও জ্ঞানের প্রসারতা ও গভীরতা অনেক বাড়াতে সহযোগিতা করে।
“এর মধ্যে সবচাইতে বড় বিষয় হচ্ছে বিতর্ক একজন মানুষকে পরমতসহিষ্ণু হতে শেখায়। বিতর্কের মাধ্যমে সে জানে, একই বিষয়কে অনেক দিক থেকে দেখার সুযোগ রয়েছে এবং তার পক্ষে বিপক্ষে অনেক ধরনের যুক্তি রয়েছে।”
তিন দিনব্যাপী ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এটি সম্ভবত বিতর্ক উৎসবের সর্ববৃহৎ মিলন মেলা। এই উৎসবে সারা দেশ থেকে সেরা বিতার্কিকরা এসেছেন ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, সাবেক বিতার্কিক ডা. আবদুল নূর তুষার, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অসিত বরণ দাশ ও চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, বিতর্ক উৎসবের চেয়ারমান সাব্বির আজম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসবে এ কথা বলেন তিনি।