বরগুনার তালতলী এলাকার মৃত হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সঙ্গে পাশের ঠংপাড়া গ্রামের সুলতান পলানের ছেলে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হৃদয় ও মারুফা ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগানে দেখা করতে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তার চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলেমানের জিম্মায় মারুফাকে রাখা হয়। দুই পরিবার আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের কথা ছিল।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে রাখা হয়।
সকালে মারুফার ছোট বোন মারিয়া বাড়ির পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দেওয়ার জন্য যায়। এসময় বড় বোনকে পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রেমিক হৃদয়কে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেমান হোসেনসহ পরিবারের সবাই পলাতক।নিহতের খালু আয়নাল হোসেন বলেন, শুক্রবার মারুফা-হৃদয়ের বিষয়ে সমাধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওরা তাকে হত্যা করে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে ফেলে যায়। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম কাজ করছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনায় পাঠানো হয়েছে।