কারওয়ানবাজারে তিতাস গ্যাস কিংবা পেট্রোবাংলা অফিস থেকে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কাঁঠালবাগান কিংবা পরিবাগের দুরত্ব ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে। এসব এলাকায় গেল দু’বছর ধরে মিলছে না গ্যাস।সেখানের এক ক্ষুব্ধ গ্রাহক জানান, দিনের বেলায় গ্যাস পাইনা। গ্যাস দেয় রাতের বেলায়। রাতে তো আমাদের গ্যাস প্রয়োজন নেই। এদিকে গ্যাস না পেলেও কোনও মাসে গ্যামের বিল মওকুপ হয়না আমাদের। উল্টো বিল পরিশোধ করতে দেরী হলে মাইকিং করে জরিমানার হুমকি দেওয়া হয়।
মাসের পর মাস বিল দেয়ার পরও গ্যাসের দেখা নেই। তিতাসের ভোগান্তি অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে রাজধানীবাসীর। গ্যাস না মেলায় বাসাবাড়িতে বেড়েছে অশান্তি, ক্ষোভ বেড়েছে তিতাসের ওপর।
আগে মাঝেমধ্যে গ্যাসের চুলো জ্বলতো। সম্প্রতি একেবারেই উধাও। প্রতিটি বাসায় ইলেকট্রিক চুলার পাশাপাশি রান্নার কাজে ব্যবহার হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।অনেক এলাকায় গ্যাস আসে রাত একটা-দুটোর পর। তখন ঘুম আর ক্লান্তি নিয়ে রান্নার কাজে ধৈর্য্য থাকে না।
গ্রাহকদের দাবি, হয় প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা হোক; নয়তো বাসাবাড়ির সংযোগই বিচ্ছিন্ন করা হোক।