বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ আর কাঁচা ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে হজমে সমস্যা শুরু হয় এবং তা সালমোনেলার (এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ) রোগের কারণ হতে পারে। ফুড পয়জনিং ও বায়োটিনের ঘাটতির কারণও একসঙ্গে কাঁচা ডিম ও দুধ পান করা। এ কারণেই দুধের সঙ্গে কাঁচা ডিম মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। তাই রান্না ছাড়া ডিম ও দুধ না খাওয়াই ভালো।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ রয়েছে।তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা দিনে বেশ কয়েকটি খেয়ে থাকেন। সকালের নাশতা কিংবা রাতের হালকা খাবারে ডিমের সঙ্গে অনেকেরই এক গ্লাস দুধ পানের অভ্যাস রয়েছে।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা ডিমের সঙ্গে প্রায়ই দুধ পান করে থাকেন। অনেকে দুধের সঙ্গে কাঁচা ডিম মিশিয়ে পান করে। এটি স্বাস্থ্য উপকারী, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে অনেকেই জানেন না ডিমের সঙ্গে দুধ পানে কী হয়।
অনেকের মতে, ডিমের সঙ্গে দুধ পান করলে হজমে সমস্যা হতে পারে। হজমজনিত সমস্যা নেই এমন ব্যক্তিরা একসঙ্গে দুধ ও ডিম খেতে পারেন। কারণ, দুটি খাবারেই উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে।তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, দুধ ও ডিম একসঙ্গে খেলে নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে। দুধ আর ডিম একসঙ্গে খেলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে…
আয়ুর্বেদ মতে, দুই রকম প্রোটিন একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পেট ফুলে যাওয়া, অস্বস্তি, পেটে ব্যথা, এমনকি ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে একই সঙ্গে দুই রকম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ইনফেকশনের কারণও হতে পারে।
তবে ভুল করেও দুধ আর কাঁচা ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না। যদিও বেকিং বা রান্নার ক্ষেত্রে ডিম ও দুধের মিশ্রণের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এ ক্ষেত্রে অনন্ত এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ডিম ও দুধ খেতে হবে।