জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর, দিন ও রাতে অন্তত পাঁচ ঘন্টা লোড শেডিং এ পড়তে হচ্ছে রাজধানীবাসীর। এ অবস্থায় কোনো কাজই ঠিকমতো করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৫শ মেগাওয়াট। তাই দিন-রাতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত ঢাকার জীবন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকায় দুর্ভোগ এখন চরমে। রাজধানীতে রাতের লোডশেডিং কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ ডেসকো-ডিপিডিসির কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কম ব্যবহারের তাগিদ দিচ্ছেন তারা।তাই দিনের পাশাপাশি রাতেও লোড শেডিং এ পড়ছেন রাজধানীর মানুষ।
বিতরণ কোম্পানি ডেসকো ও ডিপিডিসির কর্মকর্তারা বলছেন, বিতরণ সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় প্রতিদিনই লোডশেডিং করতে হচ্ছে তাদের। তবে রাতের বেলায় লোড শেডিং কমাতে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা।
এ ছাড়া ২৪ ডিগ্রির নিচে এসি ব্যবহার না করা, লাইট, ফ্যানসহ সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিতরণকারী কোম্পানিগুলো।