তিন সপ্তাহ আগে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রিজার্ভ সেনাদের তলব করে মস্কো। এই প্রেক্ষাপটে প্রচুর মানুষ রাশিয়া থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়া শহরের বাসিন্দাদের তুলনায় জাতিগত সংখ্যালঘু ও গ্রামের লোকদের যুদ্ধক্ষেত্রে বেশি পাঠানোয় ওই সময় সমালোচনার মুখে পড়ে রুশ কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনে এ মুহূর্তে বড় কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার এও জানালেন, যুদ্ধক্ষেত্রে রিজার্ভ সেনাদের তলব দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। খবর রয়টার্স।
গত সপ্তাহে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেন জুড়ে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে শতাধিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এতে পরিষেবা অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়। ওই হামলাকে ক্রাইমিয়ার সঙ্গে প্রধান সংযোগ পথ কের্চ সেতুতে বিস্ফোরণের প্রতিশোধ করে উল্লেখ করেছিলেন পুতিন।
কাজাখস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল পুতিন বলেন, প্রত্যাশিত ৩ লাখ রিজার্ভ সেনার মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজারকে তারা সংঘবব্ধ করতে পেরেছেন। তবে এই প্রক্রিয়া দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে চলেছে।
এদিকে গতকাল রাতে ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারো বললেন, তার বাহিনী সকল ভূমি পুনরুদ্ধার করবে। যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েনের জন্য রাশিয়ার সেনা, আক্রমণের জন্য যথেষ্ট অস্ত্র থাকলেও তাদের সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, আমরা জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি।
তবে ওপেক প্লাস দেশগুলোর জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পেছনে সৌদি ও রাশিয়ার সখ্য দেখছে দেশটি।