বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

শেষ হলো জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার,ভোট সোমবার

প্রতিনিধির / ১৪১ বার
আপডেট : রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২
শেষ হলো জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার,ভোট সোমবার
শেষ হলো জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার,ভোট সোমবার

জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য ৯৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ভোটগ্রহণের আগে দুইদিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিন মোট ৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৯২৩ ও পুরুষ ৪৮ হাজার ২৩৬ জন। দেশের ৬১টি জেলার স্থানীয় সরকারের ৪টি প্রতিষ্ঠানের (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে এ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তৈরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদ ৪৬৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদ ১৭২টি। চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৬১টি। ৪৭৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫৫টি ভোটকক্ষে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।

শেষ হলো জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে এ প্রচারণা শেষ হয়। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৫৭টি জেলায় একযোগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে নির্বচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই কেবল এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দুটি জেলা ভোলা ও ফেনীতে সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এছাড়া দুই জেলা নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। আদালতের রায়ে স্থগিত নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ইসির তথ্য অনুযায়ী নির্বাচনে ৩৪টি জেলা পরিষদে মোট ৯০ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অপরদিকে সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী ৬২০ জন আর সাধারণ পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৫০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব মিলিয়ে তিন পদে মোট দুই হাজার ১২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।অবশ্য স্থগিত নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রার্থী বাদ গেলে এই সংখ্যা কিছুটা কমবে।

এদিকে নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের নানা ঘটনার পর এ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ইসি। কোনও জেলায় যাতে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রী বা প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তি ভূমিকা রাখতে না পারে সেজন্য এরমধ্যেই তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিক নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। ভোটকক্ষের গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিতকরণ ও ভোট কক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Categories