তুরস্ক-গ্রিস সীমান্ত এলাকা থেকে ৯২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধারের এই দৃশ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্বে।
তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশ করা ৯২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে আংকারা ও এথেন্স। একই সঙ্গে তুরস্কের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এ ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে গ্রিস।
গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় তুর্কি সীমান্তের কাছ থেকে চরম মানবেতর অবস্থায় ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের পর থেকেই পাল্টাপাল্টি দোষারোপে ব্যস্ত দুই দেশ। যদিও কেন তারা বিবস্ত্র ছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। একইসঙ্গে এ ঘটনায় তুরস্কের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে গ্রিস।
তবে গ্রিসের ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে আংকারা। এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তুরস্কের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ অতীতে কেউ প্রমাণ করতে না পারায়, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধারের দায় আংকারার ওপর চাপানো হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানায় সংস্থাটি।