গত ১৬ সেপ্টেম্বর নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। বিক্ষোভে হতাহতের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।
পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় দেশ জুড়ে চলা বিক্ষোভে দমন পীড়ন চালানোর ঘটনায় ইরানের নৈতিক ও দেশটির তথ্যমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
শুধু তাই নয় নৈতিক পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুস্তমি এবং হাজামাদ মির্জাইসহ ১১ জনের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ইউরোপ ভ্রমণে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিক্ষোভ চলাকালে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া এবং কঠোরভাবে বিক্ষোভ দমন করায় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডসের সাইবার ডিভিশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ইরানের বিভিন্ন সংস্থার ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।সে সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, তাদের দমাতে তাজা গুলি ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। তবে তাজা গুলি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে ইরান। পাশাপাশি বিক্ষোভের ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শত্রু দেশের ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করে।
তবে মাহসা আমিনির মৃত্যু পুলিশি হেফাজতে নয় বরং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত দেশটির ফরেনসিক অর্গানাইজেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘মহসা আমিনির মৃত্যু তাঁর মাথায় কিংবা শরীরের অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে গুরুতর আঘাতের কারণে হয়নি।’ বরাং মাহসা আমিনির মৃত্যু ৮ বছর বয়সে তাঁর মস্তিষ্কে টিউমার অপসারণে করা একটি সার্জারির সঙ্গে যুক্ত।’