চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি তেলের হাহাকার পড়ে যায়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফিলিং স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েও তা পাওয়া যাচ্ছিল না। মূলত এ থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বিক্ষোভ হয়।
এতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে এখন ফিলিং স্টেশনে চিত্র পাল্টেছে। কিন্তু নির্ধারিত কোটায় তেল নিতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় ডিজেলের সংকটও অনেকটা কেটে গেছে।আর্থিক সঙ্কটে পড়ে গত এপ্রিলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। রাজস্ব খাতে তহবিল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাতে কিছু কাজও হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের মূল্য আরও কমালো সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশটির সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার তেলের দাম কমালো শ্রীলঙ্কা।ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, এ বছর দেশটির অর্থনীতি ৯ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হবে। এরপরই জ্বালানির দাম কমালো তারা।
লঙ্কান জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৪০ রুপি কমানো হয়েছে। ফলে এখন তা বিক্রি হবে ৩৭০ রুপিতে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ১০ শতাংশ কমায় শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে এখনো দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির দাম গত বছরের শেষদিকে সংকট শুরুর আগের তুলনায় দ্বিগুণ রয়েছে।