২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল মুভমেন্ট ২০২০ সালের জুলাইয়ে পরিচালিত হয়েছিল।
যেখানে দুটি টিএমটি স্টিল এবং দুটি শস্যদানা ভর্তি কনটেইনার কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পৌঁছে।এই ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের খরচ ও সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এ ট্রান্সশিপমেন্টে বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে ভারতীয় জাহাজ এমভি ট্রান্স সমুদেরা। এতে কার্গো হিসেবে ছিল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনার। আজ বুধবারের এই চালানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে সব অনুমোদিত রুটে ট্রায়াল শেষ হলো।
২০১৮ সালে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়। কার্গোর এই চলাচল সেই চুক্তিটি কার্যকর করার লক্ষ্যে গৃহীত ট্রায়াল রানের অংশ বলে জানিয়েছে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন।
ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটের এ ট্রায়াল পরিচালনা করে টাটা স্টিল ও সিজে দারসেল লজিস্টিকস লিমিটেড।চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। এগুলো হলো আখাউড়া হয়ে আগরতলা, তামাবিল হয়ে ডাউকি, শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুট।
এই ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের খরচ ও সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এ ট্রান্সশিপমেন্টে বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার হবে।
বুধবারের ট্রায়াল রানের মাধ্যমে এই চুক্তির অধীনে সব অনুমোদিত রুটে ট্রায়াল সম্পন্ন হলো। এবার পণ্যের নিয়মিত চলাচলকে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল স্থায়ী আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল।