বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

মুখ খুললেন ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ

প্রতিনিধির / ৯২ বার
আপডেট : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
মুখ খুললেন ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ
মুখ খুললেন ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ

ছাত্রলীগের ওই দ্বন্দ্বের ঘটনার পর থেকে অনেকটা মিডিয়া থেকে দূরে থাকলেও মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) অনেক চেষ্টার পর বাংলাভিশনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন অধ্যক্ষ। এ সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন কলেজ প্রশাসনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

বাংলাভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য দাবি করেন, ছাত্রলীগের একপক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে কলেজকে বিতর্কিত করেছে।

ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন ছাত্রলীগ নেত্রীরা। সম্প্রতি সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনটির ওই কলেজ শাখার আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে ঘিরে চলা আন্দোলনে এমন তথ্য তুলে ধরেন ছাত্রলীগের একাংশের নেত্রীরা। যা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সেই থেকে এনিয়ে নানান মাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হয়ে আসছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা।

কলেজে ছাত্রলীগের নানান অনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে টিএসসিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান কেয়া।

সেই বক্তব্য দেওয়ার পর থেকে নানামুখী হুমকির স্বীকার হচ্ছেন বলে দাবি করে আসছিলেন নুসরাত। গতকাল সোমবার নিজের সার্টিফিকেট আনতে কলেজে গেলে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তাকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেন নুসরাত। প্রথমে এই অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করেন এই প্রতিবেদক।

জবাবে অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য জানান, সোমবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং চলছিল। সে সময় নুসরাত তার সার্টিফিকেটের জন্য কলেজে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে একাডেমিক কাউন্সিল অভিযোগের বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে নুসরাতকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আসতে বলে।

পরে নুসরাত এলে তার দেওয়া বক্তব্যের প্রমাণ চাওয়া হয়। কিন্তু সে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। পরে তাকে এ বিষয়টি লিখিত দিয়ে যেতে বলা হয়।

প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ বলেন, ‘তাকে মাত্র ৫২ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো বলে জানিয়েছিল। তাই তার অভিভাবককে ডাকা হয়েছিল।

নুসরাতের বাবা তার এক দুঃসম্পর্কের ভাইকে পাঠিয়েছিলেন। সেই ভাই আসতে দেরি হওয়ায় তাকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। পরে তার অভিভাবক এলে তাকে সার্টিফিকেট বুঝিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’এসময় নুসরাত তথ্য বিকৃতি করছেন বলেও দাবি করেন অধ্যক্ষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ