সোমবার কিয়েভে একাধিক ‘কামিকাজি’ ড্রোনের হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়া ওই হামলা চালালেও এসব ড্রোন ইরানে তৈরি বলে বিশ্বাস করা হয়।€যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিস্ফোরণের ক্ষমতাবাহী ইরানের ড্রোন রাশিয়ার কাছে সরবরাহ করার মানে হচ্ছে জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।
এসব ড্রোন ইরানে তৈরি শাহিদ-১৩৬ বলে শনাক্ত করেছে ইউক্রেন, যাকে কামিকাজি ড্রোন বলে বর্ণনা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের যে ফাইটার বিমানের যোদ্ধারা আত্মঘাতী হামলা চালাতেন, তাদের নামের সাথেও মিল রেখে এই নামকরণ।
ফরাসি ও ব্রিটিশ মিত্রদের সাথে বিশ্লেষণের পর যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে, ইরানের ওপর জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এটা তার লঙ্ঘন।ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সাথে সম্পর্কিত ওই নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, বেশ কিছু সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা ভিদান্ত প্যাটেল বলেছেন, রাশিয়া ও ইরানের সাথে সম্পর্কের গভীরতাকে সারা বিশ্ব একটি হুমকি হিসাবে দেখবে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে এই দুই দেশ।তিনি আরো বলেন, ইরানের সাথে যারা ব্যবসা করবেন, তাদের যদি ইউএভি অথবা ব্যালেস্টিক মিসাইল কর্মসূচির সাথে কোনো সম্পৃক্ততা থাকে, অথবা ইরান থেকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহে কোনোরকম সংযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের খুব সতর্ক হওয়া উচিত এবং বুঝেশুনে কাজ করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করতে দ্বিধা করবে না।