রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ‘কামিকাজে ড্রোন’ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। এসব ড্রোন উড়ে গিয়ে তাদের লক্ষ্যস্থলে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে ইরান এসব ড্রোন সরবরাহের কথা আর ক্রেমলিন এগুলো ব্যবহারে কথা অস্বীকার করেছে।
গত কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। মস্কোর এই বেপরোয়া হামলায় উত্পাদনকেন্দ্র ধ্বংস হওয়ার পর দেশ জুড়ে বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য।
জেলেনস্কির একজন সহকারী বলেছেন, লোকজন বিদ্যুতের ব্যবহার না কমালে ব্ল্যাকআউটের সম্ভাবনাও আছে। তিনি বলেছেন, ঠান্ডা আবহাওয়া শুরু হওয়ার পর আমরা আরো ঘন ঘন আপনাদের সাহায্য চাইতে পারি, এটিও বাদ দিচ্ছি না আমরা।
বুধবার নিজের রাত্রিকালীন ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর নতুন ক্ষতি হয়েছে। আজ শত্রুরা তিনটি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়েছে। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে আমরা সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অংশীদারদের সহায়তায় আমরা শত্রুর শতভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি করে ফেলে না দেওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার সন্ত্রাস জ্বালানি স্থাপনাগুলোর দিকে ধাবিত হবে বলে আমাদের ধারণা।
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভের মেয়র গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সাবস্টেশনগুলো মেরামত করতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন এ পর্যন্ত রাশিয়ার ব্যবহার করা ইরানের তৈরি ২৩৩টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, এর মধ্যে বুধবারের ২১টিও আছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে পাঁচটি ড্রোন আঘাত হেনেছে। তবে এগুলো কোথায় বিস্ফোরিত হয়েছে বা এতে কতোটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেবে না ইসরায়েল। কিয়েভের বাহিনীকে শক্তিশালী করতে ইসরাইল অস্ত্র পাঠালে রাশিয়া-ইসরাইল সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি হবে বলে মস্কোর হুঁশিয়ারির দুই দিনের মাথায় ইসরাইলের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এল। তবে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন ইসরাইলের এই মন্ত্রী।