নাসার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে বিশাল ‘ইগল নেবুলা’র মধ্যে দাঁড়ানো বিরাটকায় স্বর্ণ, তামা ও বাদামি রঙের সারি সারি দাঁড়ানো কলাম বা স্তম্ভগুলোর চমৎকার কিছু ছবি ধারণ করেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
তবে জেমস ওয়েবই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’ নামে ওই কলামগুলোর প্রথম ছবি তুলেছিল নাসার হাবল স্পেপ টেলিস্কোপ। তবে ওয়েবের ইনফ্রারেড সক্ষমতার কারণে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ স্তম্ভগুলোর অস্বচ্ছতার মধ্য দিয়েও নতুন নক্ষত্রের গঠনের দিকটিও প্রকাশ করছে।
নাসার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে বিশাল ‘ইগল নেবুলা’র মধ্যে দাঁড়ানো বিরাটকায় স্বর্ণ, তামা ও বাদামি রঙের সারি সারি দাঁড়ানো কলাম বা স্তম্ভগুলোর চমৎকার কিছু ছবি ধারণ করেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
তবে জেমস ওয়েবই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’ নামে ওই কলামগুলোর প্রথম ছবি তুলেছিল নাসার হাবল স্পেপ টেলিস্কোপ। তবে ওয়েবের ইনফ্রারেড সক্ষমতার কারণে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ স্তম্ভগুলোর অস্বচ্ছতার মধ্য দিয়েও নতুন নক্ষত্রের গঠনের দিকটিও প্রকাশ করছে।
জেমস ওয়েবের ছবিতে স্তম্ভগুলোর শেষ প্রান্তের আগ্নেয়গিরির লাভার মতো কালো কালো দাগ ও উজ্জ্বল লাল আলোও প্রকাশ পেয়েছে। নাসার মতে, লাল আলো ও কালো দাগগুলো মূলত এমন নক্ষত্র থেকে বেরিয়ে আসছে, যা এখনও গঠন হচ্ছে এবং এগুলোর বয়স মাত্র কয়েক লাখ বছর।’
ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক মার্ক মক্কাওঘরেন বলেন, ‘১৯৯০ সালে মাঝামাঝি থেকে আমি দ্য ইগল নেবুলা (নীহারিকা) নিয়ে কাজ করছি। আমি আলোকবর্ষের ভেতর লম্ব স্তম্ভ দেখার চেষ্টা করেছি। এখন হাবল সেটি দেখাল। এর ভেতর আমি তাদের ভেতরে তরুণ তারকাদের খুঁজছি। আমি জানতাম জেমস ওয়েব সেটির ছবি তুলতে পারবে এবং এগুলো হবে অসাধারণ। তা আজ দেখতে পেলাম।’
জেমস ওয়েব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও কানাডার মহাকাশ সংস্থার যৌথভাবে পরিচালিত একটি প্রকল্প। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মহাকাশে যাত্রা করে। এটাকে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।