বিশ্বকাপের দামামা বেজেছে আগেই, বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ একদিন বাদেই। অথচ এই সময় যখন আলোচনার বিষয় থাকার কথা ছিল বিশ্বকাপে কেমন করবে টিম টাইগার, সেখানে এখন শঙ্কার কালো মেঘ।
টানা ব্যর্থতায় দলের আত্মবিশ্বাস তলানীতে। তাই লাল সবুজের ক্রিকেট নিয়ে সবচেয়ে আশাবাদী মানুষটিও এবার বড় স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছে না।এবারের আসরে অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোও খেলছে ভয়ডরহীন ক্রিকেট।
সেখানে বাংলাদেশ এখনও ব্যস্ত সেরা কম্বিনেশনের খোঁজে। তাই দল নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোচিং স্টাফের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন সাবেক পরিচালক তানভীর মাজহার তান্না। পুরো প্রক্রিয়ায় সমর্থকদের মতো ক্ষিপ্ত তিনিও।
বিসিবি কর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা আর কোচিং স্টাফ নিয়োগে ভুল সিদ্ধান্তের বলি হচ্ছে জাতীয় দল। আছে সমন্বয়হীনতা আর পরিকল্পনার অভাব। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস নেই বোর্ড কর্তাদের। সঙ্গে দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুললেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মাজহার তান্না। তার মতে ক্লাব রাজনীতি সমস্যা সমাধানের বড় অন্তরায়।
বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তান্না বলেন, ‘এখন তারা এতটাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে যে, প্রথম তিন-চারটা ব্যাটার কারা হবে এটাও ঠিক করতে পারে না। এই সিলেকশনটা কেনো করতে পারেনি শেষ তিন-চার বছরে? এ রকম একটা বাজে সিচুয়েশনে নিয়ে গেছে সবাই ধোঁয়াশায়। আমরা কিছু বুঝছিই না যে, কী হবে? প্লেয়াররা কীভাবে খেলছে না খেলছে, এটা নিয়ে আমি বোর্ডকে দোষ দেবো না। আমি দোষ দেবো ওদের সিলেকশন অব দ্য সিলেক্টর্স, সিলেকশন অব দ্য কোচেসকে। কারণ, এখানে কিছু ভুল আছে। বাইরে থেকে বিদেশি কোচ নিয়ে আসছে ২০ হাজার ডলার দিয়ে, ইউজলেস। তারা কিছুই করে না।’তার মতে ক্রিকেটারদের অনেক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার নাকি সাহস নেই বোর্ডের। সঙ্গে আছে অর্থের ঝনঝনানি।
তান্না বলেন, ‘আসল হচ্ছে ডিসিশন মেকিং। দুইটা জিনিস আছে; এক হচ্ছে -সাহস নাই। প্লেয়াররা যেটা বলে সেটাকে অগ্রাহ্য করার সাহস নাই। দুই নম্বর হচ্ছে -শৃঙ্খলার অভাব। টাকা হতেই পারে কিন্তু আপনি যখন লোভী হয়ে যাবেন যে, টাকাই বানাতে হবে, ইউ আর ফিনিশড।’এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলছেন, বিসিবি সমস্যা সমাধান না করে জিইয়ে রাখে। তাই বোর্ডকে দিলেন নানা পরামর্শ।
তান্না বলেন, ‘টিম যখন বাইরে যায়, ম্যানেজার হিসেবে একজন সম্মানিত ব্যক্তি যাওয়া উচিত। রেসপেক্টেড পারসন যাওয়া উচিত যাকে প্লেয়াররা রেসপেক্ট করবে। একই রকমের ম্যানেজমেন্ট প্রতিবার দিয়ে যাচ্ছেন এবং সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে আসছেন, এটাতে হবে না। দিজ ইজ নট দ্য ওয়ে টু টিম রুলস।’
তবে ক্লাব রাজনীতিকে মানছেন সমস্যা সমাধানের বড় প্রতিবন্ধকতা। বলছেন, এখনই উদ্যোগী না হলে শুধু ২২ বছর কেনো, এই ক্ষত সারবে না কখনোই।