বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধে ১২০ ফুট ভাঙন

প্রতিনিধির / ৯০ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২
খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধে ১২০ ফুট ভাঙন
খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধে ১২০ ফুট ভাঙন

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেন স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে জোয়ারের অতিরিক্ত চাপে কয়রা উপজেলার হরিণখোলা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় রাতভর ওই এলাকায় অবস্থান করেন তারা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রথমবার ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে যায়। তাৎক্ষণিক মাটি ফেলে বেড়িবাঁধ সংস্কার তৎপরতা শুরু করেন স্থানীয়রা।মাত্র ছয় মাস আগে শেষ হওয়া এ বেড়িবাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা এলাকায় মাত্র ৬ মাস আগে নির্মাণ করা বেড়িবাঁধের প্রায় ১২০ ফুটের মতো ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেড়িবাঁধে এসব ভাঙন তাদের কাছে নিত্য দেখা। প্রতিবারই ছোটখাটো যে কোনো ঝড় এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। এখানের এই বাঁধটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় ছিল। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে সোমবার রাতেই আমরা এখানে স্থানীয়দের নিয়ে অবস্থান করি। বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে সবার সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তা মেরামত শুরু করি। দুপুর নাগাদ এটি মেরামত সম্পন্ন হয়।’

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ওমর ফারুক সম্রাট বলেন, ‘এ ধরনের বেড়িবাঁধ শুধু সংস্কার নয়, কয়রার উপকূলবাসীর একমাত্র চাওয়া স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ। যাতে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে এখানকার মানুষের কারো ক্ষতি না হয়। কিন্তু বারবার দাবি করার পরও সেসব দাবি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বেলা ১১টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার জানান, বেড়িবাঁধের কাজের মান নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম, যে কোনো কারণে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে; তবে তা দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

দুপুর ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু। তিনি জানান, এ বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো গাফিলতি হয়নি। কপোতাক্ষ নদের বৈশিষ্ট্যের কারণেই এ বেড়িবাঁধ ভেঙে যেতে পারে। তবে আমরা দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ