ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ জনপথ বিদ্যুৎবিহীন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ছিল না বিদ্যুৎ। দীর্ঘদিন অকেজো থাকায় হাসপাতালের জেনারেটরও কোনো কাজে আসছে না।
এমন মুহূর্তে টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে এক জটিল রোগের অপারেশন সম্পন্ন করেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসক।সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ওই অপারেশনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা হলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এতে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাকিয়া সুলতানা, ডা. তানিয়া আফরোজ, ডা. হাবিবুর রহমান, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা প্রশংসিত হচ্ছেন। বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতিতে এমন এক সফল অপারেশন সম্পন্ন করে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন এই চিকিৎসক দল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে একটি জটিল রোগের অপারেশন করছিলেন ডা. জাকিয়া সুলতানা, ডা. তানিয়া আফরোজ, ডা. হাবিবুর রহমান, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সসহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসক।
হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো অপারেশন থিয়েটার। ওই সময় অপারেশন করা না হলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বিধায় কোনো উপায় না পেয়ে টর্চ লাইটের আলো ও মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে অপারেশন কার্যক্রম ফের শুরু করেন এবং সফলভাবে অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ওই চিকিৎসক দল।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা বলেন, ওই মুহূর্তে অপারেশন সম্পন্ন না করলে হয়তো রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই আমরা দ্রুত অপারেশনের কাজটি সম্পন্ন করেছি। কারণ, জীবন বাঁচাতে কোনো সংকটই বাধা হতে পারে না। আমরা প্রতিনিয়ত এভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন জানান, হাসপাতালে জেনারেটর নেই, জেনারেটর চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসবে। নানান সংকটের মধ্যেও হাসপাতালে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা থাকে। টর্চের আলোতে অপারেশনের এ ঘটনাটি তারই দৃষ্টান্ত ও নিদর্শন।