মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেলো ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে

প্রতিনিধির / ৬৫ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২
৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেলো ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে
৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেলো ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিনের অস্বাভাবিক জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৩০০টি পুকুর ও ৮০টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে করে ২ কোটি ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের মৎস্য ঘেরের মালিক মো. সাগর শিকদার বলেন, অনেক কষ্ট করে কয়েকজন মিলে এবার ঘের করেছি। এতে আমাদের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার পোনা মাছ দেয়া আছে। কিন্তু গত দুইদিনের বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে সব মাছ ভেসে গেছে। ঘুরে দাড়ানোর কোন পথই খোলা নেই।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার ও অতিবর্ষণে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্য চাষীরা। একই এলাকার আরেক মাছের ঘেরের মালিক মোস্তফা দফাদার বলেন, কয়েকদিন যাবত আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় বুঝে উঠতে পারিনি। হঠাৎ করেই বিরামহীন বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে ক্ষতিটা হয়ে গেলো। আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি মাছ ভেসে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে একটি ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করেছি। এতে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ৩শত পুকুর ও ৮০টি মাছের ঘের ডুবে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। পাশাপাশি এসব মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে আনুমানিক ৩ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী শুভ হালদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে নতুন করে উপজেলার কয়েকটি এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাউবোর কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো শিগগিরই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ২৯ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হলে তেমন ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে দুই দিনের বৃষ্টিতে শীতকালিন সব্জির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।এ ব্যাপারে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ুন কবির বলেন, দুর্যোগে বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ১৭টি বাড়িঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন জেলায় পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ