চলতি বছর মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি উসকে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগকে। স্বাভাবিকভাবেই যা ভোক্তা ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের খরচ টানতে বাধ্য করেছে। ফলে উইন্ডোজ ও অফিস স্যুটসহ মাইক্রোসফটের কিছু প্রধান পণ্যের বিক্রি কমেছে। এদিকে বৈশ্বিক বড় কোম্পানিগুলোর আয়ের ওপর ভর করে ডলারের মূল্যমান বেড়েছে ১৭ শতংাশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মাইক্রোসফট রাজস্বের ৫০ শতাংশেরও বেশি আয় করে।
শিগগিরই তৃতীয় প্রান্তিকের আয়-ব্যয়ের উপাত্ত প্রকাশ করবে মাইক্রোসফট। ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বিক্রিতে শ্লথগতি, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন সংকট এবং করোনা অব্যাহত প্রভাবে কোম্পানিটির আয়ে প্রভাব পড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মাইক্রোসফটের প্রবৃদ্ধি পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়াতে পারে। এতে চলতি বছরে আয়ের পূর্বাভাস কমাতে হচ্ছে বিল গেটস ও পল অ্যালেন প্রতিষ্ঠানটির। খবর রয়টার্স।
গত সপ্তাহে গুগেনহেইম বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, সবার চোখ থাকবে মাইক্রোসফটের ২০২৩ অর্থবছরের দিকে। পূর্বভাসমাফিক কোম্পানিটি দুই অংকের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে কিনা তা দেখতে চাইবে সবাই। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএস জানিয়েছে, পূর্বভাস অনুযায়ী রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তাদের পণ্যের দাম বেশি মনে হচ্ছে। অক্টোবরে কমপক্ষে ১৫টি ব্রোকারেজ তাদের দাম কমিয়েছে এবং ২০২২ সালে কোম্পানির শেয়ার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কমেছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোসফেটের ক্লাউড পরিষেবা ইউনিট আজর দ্বারা আঘাত খানিকটা প্রশমিত হবে, তথ্য অনুসারে যা প্রথম প্রান্তিকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।মাইক্রোসফটের আয়ের প্রায় ১২-১৩ শতাংশ আসে উইন্ডোজ লাইসেন্স বাবদ। ব্যক্তিগত কম্পিউটার বাজারে মন্দার ফলে এটির বিক্রি ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মর্নিংস্টারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ড্যান রোমানফ।
পাইপার স্যান্ডলারের একটি বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, ২০২১ সালে হ্রাসকৃত ৩৩ শতাংশ থেকে শীর্ষ ১০০টি সফটওয়্যার সংস্থার মোট আয় ২০২২ সালে ২২ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ২০ শতাংশ বাড়বে।