বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসা তরুণী ও নারীদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে যশোর নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি নারীকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোলে চেকপোস্টে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।ভারতে ৩ বছর সাজা ভোগ শেষে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসা নারীরা হলেন—আসহাব আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (১৮), ওলিয়ার রহমানের মেয়ে রিপা খানম (২৩), রবিউল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তার (২২), আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার (১৯), আলমগীরের মেয়ে প্রিয়া আক্তার (৩৩) ও টুকু মিয়ার মেয়ে রাশেদা বেগম (৩২)। এদের বাড়ি যশোর, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়।
ফেরত আসা রাশেদা বেগম বলেন, দালালদের মাধ্যমে সীমান্তের অবৈধ পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে যাই। এরপর বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন কাজের সময় ভারতীয় পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠায়। আদালত ৩ বছরের সাজা দেন। সেখান থেকে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা ছাড়িয়ে নিয়ে হায়দারাবাদের প্রাজালা শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুদেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর মঙ্গলবার দেশে ফিরেছি। ওই শেল্টার হোমে অনেক বাংলাদেশি মেয়ে আছে, দেশে আসার অপেক্ষায় তারা।