শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন

পূর্বাচলের ৫২ একর জমি নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে(ঢাবি)

প্রতিনিধির / ৯৩ বার
আপডেট : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
পূর্বাচলের ৫২ একর জমি নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে(ঢাবি)
পূর্বাচলের ৫২ একর জমি নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে(ঢাবি)

পূর্বাচলে ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে ২০১৮ সালে ঢাবিকে ৫১ দশমিক ৯৯ একর জমি প্রাথমিক বরাদ্দ দেয় রাজউক। প্রয়োজনীয় অর্থের সংকুলান না হওয়ায় ঢাবি জমিটি বুঝে পায়নি। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য সরকারের সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। এ জমি পেতে কাঠাপ্রতি ১৫ লাখ দরে মোট ৪৭০ কোটি টাকা রাজউককে দিতে হবে।

 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত পূর্বাচলের ৫২ একর জমি নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ থেকে ১০ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

গতকাল মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে ঢাবি বলছে, এ তথ্য সঠিক নয়। আর্থিক সংকটের কারণে তারা জমিটি গ্রহণ করতে পারছে না। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমকালকে জানিয়েছেন, বিষয়টি হাস্যকর এবং ভিত্তিহীন। ঢাবির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়ে তিনি
বলেন, ওখানে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আরও দুই মাস আগে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাবি এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর সমকালকে বলেন, অপারগতা নয়; ঢাবির বাজেট নেই বলে রাজউককে জানানো হয়েছে। ওই জমি অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হলে যাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পায়- সেটি বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাবি সেখানে একটি সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রও খুলতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।

ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাবি চায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ওই জমি ক্রয়ের অর্থ সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
এদিকে বৈঠকের কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, গত মাসে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, পূর্বাচলের অনুকূলে ৫২ একর জমি থেকে সংস্কৃতিচর্চার বিকাশে ৩ থেকে ৫ একর জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ পাঠানো যেতে পারে।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ একর জমি চেয়েছে। সেটা যে কোনো সুবিধাজনক স্থানে হতে পারে। তিনি বলেন, ঢাবি যদি জমি নিতে না পারে, তখন সরকার সিদ্ধান্ত দেবে- কাকে দেওয়া হবে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি গতকাল সমকালকে বলেন, ঢাবির জমি পেতে হবে- বিষয়টি এমন নয়। এই জমিসংশ্নিষ্ট হলেও চলবে। কারণ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি সাংস্কৃতিক হাব বা অঞ্চল গঠন করতে চায়। ঢাবি জমি গ্রহণে অপারগ- এ তথ্যটি কীভাবে এলো, তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

১০ সদস্যের কমিটির বৈঠকে উপস্থিত তিনজন :সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের (রিমি) সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং কাজী কেরামত আলী অংশ নেন। এ কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, নীলফামারী-২ আসনের আসাদুজ্জামান নূর, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, নেত্রকোনা-৩ আসনের অসীম কুমার উকিল, সংরক্ষিত মহিলা-৪ আসনের সুবর্ণা মুস্তাফা, সংরক্ষিত মহিলা ৪৯ আসনের সেলিনা ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা ৪৫ আসনের শেরীফা কাদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ