দর পতন রোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব শেয়ারের দর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছে। সাম্প্রতিক দরপতনে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনের লেনদেন শেষে তালিকাভুক্ত ৩৮৮ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৫৯টিই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল।
এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন বিঘ্নিত। সকাল সাড়ে ৯টায় দিনের লেনদেন শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয়নি। দুই তরফা পিছিয়ে বেলা ১১টায় লেনদেন শুরুর কথা জানানো হয়েছে ডিএসইর ওয়েবসাইটে।এর আগে গত ২৪ অক্টোবর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর হঠাৎই লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ত্রুটি সারিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা পর।ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান সকাল ১০টার দিকে সমকালকে জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।
আজকের লেনদেন বিঘ্নিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান, লভ্যাংশ ঘোষণার পর ৭০টি কোম্পানির শেয়ারদরের সার্কিট ব্রেকার ফি থাকার কথা ছিল আজ। কিন্তু তালিকাভুক্ত সব শেয়ারই সার্কিট ব্রেকার ফ্রি অবস্থায় লেনদেন শুরু হতে যাচ্ছিল। বিষয়টি ধরা পড়ার পরই লেনদেন স্থগিত করা হয়।
বিষয়টি জানতে চাইলে ডিএসইর শফিকুর রহমান সমকালকে জানান, লভ্যাংশ ঘোষণার পরবর্তি কার্যদিবসে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দর ওঠানামার কোনো সীমা থাকে না। এ অবস্থাকে সার্কিট ব্রেকার ফি অবস্থা বলা হয়। আজ রোববার লেনদেনে এমন ৭০টি শেয়ারে সার্কিট ব্রেকা ফ্রি থাকার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তালিকাভুক্ত সব শেয়ার সার্কিট ব্রেকার ফ্রি অবস্থা তৈরি হয়। এভাবে লেনদেন শুরু হলে আইনগত জটিলতা তৈরি হত বিধায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে।