জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। দেশটিতে অপরাধের বেশিরভাগই ব্যবসায়িক বিরোধ, মুক্তিপণের দাবি, অপহরণ করে হত্যা, দোকানে চুরি-ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে ঘটে।বাংলাদেশের অনেকেই সেখানে ব্যবসা করেন। যার কারণে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা সেখানে প্রায়ই ঘটে। আর এসব অপরাধের সঙ্গে ভারতীয়, পাকিস্তানি, আফ্রিকান ছাড়াও বাংলাদেশিরা বড় একটি অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছে।
সংস্থাটির ভাষ্য, এই চক্রটি দীর্ঘদিন আফ্রিকায় ছোট-বড় নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তালিকাভুক্তদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ইন্টারপোলের কাছ থেকে পাওয়া তালিকাভুক্তদের ব্যাপারে বিশদ খোঁজখবর নিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।তাদের খুঁজে বের করা ছাড়াও পাসপোর্টের তথ্য ধরে প্রত্যেকের স্বজনের ব্যাপারে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত এমন ২০৭ বাংলাদেশির তালিকা করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।সম্প্রতি মাদারীপুরের পুরান বাজার এলাকার রেজাউল হত্যা ও চাঁদপুরের কচুয়ার করইশ এলাকার রিয়াদ হোসেন পাটোয়ারী নামে আরেক তরুণকে জিম্মি করার ঘটনার তদন্ত করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের ডিসি আশরাফ হোসেন ছাড়াও ওই প্রতিনিধি দলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ ও সাক্ষীদের জবানবন্দি নেন। পরে বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি দলকে ইন্টারপোল এ তালিকা দেয়।এ বিষয়ে ডিবির ওয়ারী বিভাগের ডিসি আশরাফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আফ্রিকায় বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত এমন ২০৭ জনের তালিকা দিয়েছে ইন্টারপোল। এদেরমধ্যে কেউ মামলার আসামি। অনেকে আবার দেশে চলে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, তালিকাভুক্ত সবার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রত্যেককে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। তাদেরকে খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয়েছে।