পেকুয়ার চৌমুহুনী স্টেশনের একটি তেল ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭ ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।রবিবার সন্ধ্যায় পেকুয়া সদরের জনাকীর্ণ চৌমুহনী স্টেশনে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আশেপাশের আরো ৪টি দোকান, একটি গাড়ির কাউন্টার ও ১টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ রাত ৯টার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও চৌমুহনী এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে চৌমুহনী স্টেশনের সানলাইন গাড়ির কাউন্টারের পাশে অবস্থিত বারবাকিয়ার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি গ্যাসের সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেলের দোকান রিয়া এন্টারপ্রাইজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে দোকনের কর্মচারী বাদশা (৪০) নামের এক ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন শফিউল, মোরশেদ, মুনির আহমদ, জালাল আহমদ, আবুল হাসনাত ও শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ছাত্র মিসবাহ উদ্দিন।এছাড়াও দমকল বাহিনীর ৩ সদস্য সামান্য আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস।পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. শোহাইব হোসেন মুন্সি বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের পেকুয়া, চকরিয়া, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ার ৫টি টিম দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, “পেকুয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, ১টি মুদির দোকান, ২টি কুলিং কর্নার, একটি বাড়ি ও একটি গাড়ি কাউন্টার পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রাথমিকভাবে প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতির একটি পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।