জরিপের ফলাফল অনুসারে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ ৬৬ জনের আস্থা বসুন্ধরা হাউজিংয়ে। এরপর অবস্থান যথাক্রমে নাভানা রিয়েল এস্টেট (৩৯ জন), বিটিআই-বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস (২৬ জন), আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ (২৪ জন) ও ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড (২৩ জন)।
জমি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বসুন্ধরা হাউজিংকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তারা বসুন্ধরা হাউজিংকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন। এ ছাড়া দ্রুতগতিতে জমি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর, আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানে এগিয়ে আছে বসুন্ধরা হাউজিং। একই সঙ্গে কোম্পানির অবস্থান, জনপ্রিয়তা, পরিবেশ সুরক্ষায় উদ্যোগ, ইতিবাচক ইমেজেও সর্বোচ্চ অবস্থান বসুন্ধরার।
রিয়েল এস্টেট/ডেভেলপার কোম্পানির বিষয়ে ভোক্তাদের অভিমত যাচাইয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে। সংখ্যাগত পদ্ধতিতে করা গবেষণায় ৩০ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের সরাসরি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা পরিবারের প্রধান ও মূল উপার্জনকারী ব্যক্তি, যাদের মাসিক আয় ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে।
গবেষণার জন্য প্রাথমিক লোকেশন হিসেবে রাজধানীর জোয়ারসাহারা, নতুন বাজার, ভাটারা, সাঁতারকুল, পূর্বাচল, আফতাবনগর, বনশ্রী ও বেরাইদ অঞ্চল বেছে নেওয়া হয়। এ ছাড়া উত্তর বাড্ডা, খিলক্ষেত/নিকুঞ্জ, মেরুল বাড্ডা, ভাসানটেক, মাটিকাটা, নিকেতন ও রামপুরার বাসিন্দাদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় বসুন্ধরা গ্রুপ, নাভানা রিয়েল এস্টেট, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, বিটিআই-বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। তাদের বেশির ভাগই জানান, সংবাদপত্রে ও সাময়িকীতে বিজ্ঞাপন, বন্ধু/আত্মীয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে এসব কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তারা। বাকিরা জানান, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কারও কাছ থেকে এবং ব্রোকারদের কাছ থেকে তথ্য জানতে পেরেছেন।
গবেষণায় আবাসন খাতে বাজারে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সম্মানজনক অবস্থান, বিজ্ঞাপন প্রকাশের হার, আবাসন কোম্পানির বিষয়ে মানুষের ইতিবাচক মত, পরিবেশ সুরক্ষায় উদ্যোগী আবাসন কোম্পানি, আবাসন কোম্পানির আকর্ষণীয় অবস্থান, যথাসময়ে সম্পত্তি হস্তান্তরের হার, ঢাকায় কোম্পানির পরিচিতি, অবকাঠামোর গুণগত মান, কোম্পানি-প্রদত্ত আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জরিপে উল্লিখিত সব সূচকেই এগিয়ে আছে বসুন্ধরা হাউজিং। বসুন্ধরার পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নাভানা রিয়েল এস্টেট। তৃতীয় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ।
এ ছাড়া গবেষণায় অংশগ্রহণকারীর বেশির ভাগই জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তারা বসুন্ধরা হাউজিং থেকে জমি/ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী। তাদের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্টার্ন হাউজিং। আর তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে আমিন মোহাম্মদ ও নাভানা রিয়েল এস্টেট।