শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

যুবককে মারধরের অভিযোগ রংপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে

প্রতিনিধির / ৯৩ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

বুধবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ভাঙ্গা মসজিদ সংলগ্ন আজাদ হোমিও হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হাসান আল মামুন রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ কলেজ রোডের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদের ছেলে।

হাসান আল মামুনের অভিযোগ, তার পরিচয় পাওয়ার পরও ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (টিএসআই) সজল তাকে মারধর করেছেন। তিনি আরও বলেন, গাড়ির কাগজপত্র সব কিছু ঠিক থাকার পরও জোরপূর্বক মামলা দেয়ার চেষ্টা করেন সজল।

রংপুরে ট্রাফিক পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবককে উপর্যুপুরি নাকে-মুখে ঘুষি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষুব্ধ পথচারীরা ট্রাফিক পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে রাতেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়।

জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর আজাদ হোমিও হলের সামনে মোটরসাইকেল রেখে দোকানের ভেতরে ওষুধ কিনতে যান মামুন। ওষুধ নেয়া শেষে তিনি বাড়ির দিকে রওনা হলে পথে রংপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সজল কুমার ও শফিকুল ইসলাম এসে তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। পুলিশের কথা মতো মামুন ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখান। কাগজপত্র সবকিছু ঠিক দেখানো হলেও ট্রাফিক পুলিশ তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে মোটরসাইকেল রেখে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে মামলা দেবে বলে জানান। এ সময় মামুন তার বাবার পরিচয় দিলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা মামুনকে গালিগালাজ করেন। মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানের সামনে থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তর্ক হয়। একপর্যায়ে তার নাকে ঘুষি মারেন টিএসআই সজল। এতে মামুনের নাক থেকে রক্ত ঝরতে থাকে এবং তিনি রাস্তায় পড়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুনকে মারধরের দৃশ্য দেখে পথচারী ও স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আশপাশে থাকা অন্যান্য ট্রাফিক সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সজলসহ মামুনকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে ডিবি অফিসের সামনেও লোকজন ভিড় করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

এ ব্যাপারে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, মামুনসহ অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে বিষয়টি সুরাহা করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ